ছিনতাই হওয়া সামগ্রী কেনার অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে আটক করল পুলিশ। বুধবার রাতে বেলডাঙা থানা এলাকার মাঝপাড়া থেকে বেলডাঙা শহর তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মিনারুল শেখ ও তাঁর ভাই ইমতিয়াজ শেখকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। মিনারুল গত পুরসভা নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে-র তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। তবে জিততে পারেনি।
যদিও মিনারুলকে দলের কর্মী বলে স্বীকার করতে চাননি জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল। উজ্জ্বলবাবুর দাবি, ‘‘ও এখন দলের কেউ নয়।’’ তা হলে পুরভোটের টিকিট পেল কী করে? উজ্জ্বলবাবুর যুক্তি, ভুলবশত পুরভোটে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অনৈতিক কাজ করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের নেতারা।
আটক হওয়া তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?
পুলিশ জানিয়েছে, ছিনতাই হওয়া সামগ্রী কেনার অভিযোগ রয়েছেই, ছিনতাইয়ে মদত দেওয়ারও অভিযোগও রয়েছে। বুধবার রাতে কলকাতার বিধাননগর কমিশনারেট-এর পুলিশ এবং বেলডাঙা থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মিনারুলকে আটক করে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষে থেকে এ বিষয়ে কেউ মন্তব্য করতে চায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চে বীরভূমের লাভপুর থানার পুলিশ মিনারুলকে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। দিন কয়েক পর সে ছাড়াও পেয়ে যায়। তখন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছিল, একই নামের লোক ধরতে এসে পুলিশ ভুলবশত মাঝপাড়ার মিনারুলকে গ্রেফতার করে! পরে সে পুরভোটে তৃণমূলের টিকিট পায়। বিরোধী দলের এক নেতার কথায়, ফের একই অভিযোগ ওঠায় তৃণমূল নেতারা মিনারুলকে আর আড়াল করার ঝুঁকি নেননি। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।