তীব্র গরমে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে গিয়েছে। ফলে নলকূপ থেকেও জল পড়ে না। ফলে ফলে তীব্র জল সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন বেলডাঙার কাপাসডাঙা, বেগুনবাড়ি পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একাংশ। বেলডাঙার কাপাসডাঙা পঞ্চায়েতের নতুনপাড়া, নবাববাড়ি, হোসেনপুর, নওপুকুরিয়া, কাগজিপাড়া, কাপাসডাঙা গ্রামে পানীয় জলের কোনও বন্দোবস্ত নেই। এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সকাল, বিকেল এক জলের জন্য হাহাকার করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আসেনির্ক যুক্ত এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল নেই। জল বলতে পুকুর, নালা বা নলকূপই ভরসা। কিছু পঞ্চায়েতের নলকূপ ও কিছু বাড়িতে থাকা নলকূপ ছাড়া কোনও গতি নেই এলাকার মানুষের। কিন্তু চৈত্রের পর থেকে শত চেষ্টাতেও জল পরে না নলকূপে। কাপাসডাঙা গ্রামের ফজলুর হক বলেন, ‘‘গ্রামের কলের জল বালতিতে রাখলে খানিক পরে হলুদ হয়ে যায়। মুখে তোলা যায় না। অগত্যা জলকষ্ট থাকছেই।’’
নবাববাড়ির বাসিন্দা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘‘কাজ ফেলে তিন-চার কিলোমিটার দূরে জল আনতে যেতে হয়। সেখানেও লাইন।’’
জেলা পরিষদের সদস্য কংগ্রেসের মনিরুল হক বলেন, ‘‘এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে জল মিলছে না। নলকূপে জল নেই। কারণ এই গরমে মাটির নীচের জল আরও নীচে নেমে যায়। তার জেরে জল পড়ে না নলকূপে। প্রচণ্ড সমস্যায় মানুষ।’’
সদ্যবিদায়ী রেজিনগরের বিধায়ক কংগ্রেসের রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘কাজিসাহা ও বেগুনবাড়িতে দু’টি জলাধার তৈরি হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এলাকার মানুষ জল পাবে।’’