ভর্তি নিয়ে ক্ষোভ, তালা-বন্ধ কলেজ

দু’বার কাউন্সেলিঙের পরেও সংরক্ষিত আসনে আড়াইশোর বেশি পড়ুয়া পাওয়া যায়নি। বাকি আসনে সাধারণ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলে কাজ হয়নি। তাই এ দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় টিএমসিপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমপুর শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ০১:৫৫
Share:

ক্ষোভ: ঝুলল তালা। করিমপুরের পান্নাদেবী কলেজে। নিজস্ব চিত্র

খালি পড়ে রয়েছে আসন। কিন্তু সেগুলি সংরক্ষিত তফসিলি জাতি এবং জনজাতির জন্য। এ দিকে ফর্ম পূরণ করে প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে পারেননি বহু সাধারণ পড়ুয়া। তাঁদের দাবি ছিল শূন্য আসনগুলি সাধারণ পড়ুয়াদের দিয়েই ভর্তি করা হোক। কিন্তু অভিযোগ করিমপুর পান্নাদেবী কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই দাবি মানেননি।

Advertisement

সোমবার কলেজ খুললে সেই দাবিতে কলেজ গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাল টিএমসিপি। এই বিষয়ে সামাধানের আশ্বাস পেয়ে ঘণ্টা দেড়েক পরে গেটের তালা খুলে দেয় আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। কলেজ সুত্রে জানা গিয়েছে, এখানে প্রথম বর্ষে পাশ কোর্সে ভর্তির মোট আসন সংখ্যা ১৭০০। তার মধ্যে সাধারণের (জেনারেল ক্যাটাগরি) জন্য ৯১৩ আসন ও বাকি আসন তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত। ৯১৩ আসনে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হলেও সংরক্ষিত আসনে ২৫০ পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। বাকি আসন খালিই রয়েছে।

কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিরেন আলি মণ্ডল জানান, ১৭০০ আসনে এলাকার ২৪৪০ পড়ুয়া ভর্তির জন্য আবেদন করেন। প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী এখনও কোথাও ভর্তি হতে পারেননি। দু’বার কাউন্সেলিঙের পরেও সংরক্ষিত আসনে আড়াইশোর বেশি পড়ুয়া পাওয়া যায়নি। বাকি আসনে সাধারণ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলে কাজ হয়নি। তাই এ দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় টিএমসিপি। এ দিন সকালেই গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। তাদের সঙ্গে ছিলেন আবেদনকারীরাও। তালা বন্ধ থাকায় শিক্ষক এবং কলেজের কর্মীদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। শেষ পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেন।

Advertisement

করিমপুর পান্নাদেবী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৌস্তব ভট্টাচার্য জানান, কলেজে তপসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত আসন খালি থাকলেও, সেই আসনে সাধারণদের ভর্তি করার ব্যাপারে কোনও অনুমতি না পেলে ভর্তি করা সভব নয়। জেলা শাসক ও কলেজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তাদের অনুমতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সংরক্ষিত আসনে কাউন্সেলিং হবে। তার পরে যে আসন খালি থাকবে সেখানে সাধারণদের আবেদন
জানানো হবে।’’

মুরুটিয়ার জুয়েল মণ্ডল ও থানারপাড়ার প্রতিমা শীল বলেন, “এলাকার নিম্নবিত্ত ও স্বল্প মেধাবীরা খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করে। কলেজে ভর্তির সুযো‌গ না পেলে পড়া বন্ধ করে দিতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন