দীর্ঘসুত্রিতা যেখানে নিয়ম, অতি সক্রিয়তা তখন বিস্ময় জাগায় বইকি! মন্তব্য নয়, অভিযোগ। করছেন নবগ্রামের বিরোধী দলের নেতারা। অভিযুক্ত তিন সরকারি আধিকারিক। যদিও সরকারিভাবে অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে তার জেরে নবগ্রাম গ্রামীণ হাসাপাতালের বিএমওএইচের কোয়ার্টার ভাঙচুর হয়। পুলিশ দুই কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
নবগ্রাম থানার ওসি, নবগ্রামের বিডিও, হাসপাতালের বিএমওএইচের বিরুদ্ধে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের মধ্যে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। সেই ঘটনাতে কার্যত ক্লিনচিট পেয়ে গিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা। কংগ্রেসের প্রশ্ন, শুক্রবার রাতের ঘটনায় পরদিনই কী ভাবে ক্লিনচিট পেয়ে গেলেন ওই তিন অভিযুক্ত?
জেলাশাসক পি উলগানাথন শনিবার জানিয়েছিলেন, অভিযোগের সারবত্তা নেই। রবিবার মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘আমার কাছে জেলাশাসক একটি অভিযোগ করেছেন। তবে ওই তিন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তেমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। অ্যাম্বুল্যান্সের চালকদের নিয়ে কিছু অভিযোগ ছিল। তার জন্যও রাতে ওঁরা হাসপাতালে গিয়েছিলেন।’’ শনিবার রাতে ইকরোল গ্রামের বিপু মণ্ডল ও নবগ্রামের টুসু শেখ নামে দুজন কংগ্রেস সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের লালবাগ এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, নবগ্রামের বিডিও এবং নবগ্রাম থানার ওসি গত শুক্রবার রাতে নবগ্রাম ব্লক হাসপাতালের পুরুষ বিভাগের মধ্যে রোগীর বাড়ির লোকজনদের বের করে দেন বলে অভিযোগ। সিএমওএইচ নিরুপম বিশ্বাস বলেন, ‘‘রোগীর সঙ্গে রাতে বাড়ির লোক থাকতেই পারেন। তবে পুরুষ ওয়ার্ডে মহিলা থাকাটা নিয়ম নেই।’’ তবে শুক্রবারের ঘটনার কোনও অভিযোগ তিনি পাননি।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্য কংগ্রেসের ধীরেন্দ্রনাথ যাদব জানান, দু’জন কংগ্রেস সমর্থককে গ্রেফতার প্রতিবাদে মিছিল বের হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয় ওই মিছিল থেকে। নবগ্রাম ব্লক হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা বিধায়ক সিপিএমের কানাই মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও এবং ওসি-র অপসারণের দাবিতে ২০ ডিসেম্বর ‘নবগ্রাম থানা চলো’ ডাক দিয়েছি।’’