পেটের গণ্ডগোল, বমি ও জ্বরে গত তিনদিনে একই পরিবারে দুই শিশুকন্যার মারা গিয়েছে। সেই বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সোমবার রেজিনগরের কাশীপুর এলাকার ঘটনা। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে বিক্ষোভ চলে। পরে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, বেলডাঙা ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও বেলডাঙা ২ ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের এক চিকিৎসক এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেটের গণ্ডগোল, বমি ও জ্বরে গত তিনদিনে একই পরিবারে দুই শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। ২০ অগস্ট মারা যায় আজিজিয়া খাতুন (৪)। তারপর সোমবার সকালে একই সমস্যা নিয়ে বেলডাঙা ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হতে যায় মৃতের বোন মসলিয়া খাতুন (৪)। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তার। এই খবর গ্রামে পৌঁছতেই কাশীপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। এ দিকে, ওই বাড়িতে পাঁচ স্বাস্থ্যকর্মী ওআরএস ও হ্যালোজেন ট্যাবলেট দিতে গেলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজনও জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
ওই দুই শিশুর বাবা হাসিবুর রহমান ও মা স্ত্রী তসলিমা বিবি অপুষ্টি ও পেটের সমস্যা নিয়ে গত ২০ অগস্ট বেলডাঙা ও বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি। সেই দিনই দুই যমজ মেয়ে আজিজিয়া ও মসলিয়া পেটের সমস্যা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়। প্রথম জন বাড়িতেই ও অপর জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এত বড় ঘটনা ঘটলেও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি আসেননি। প্রয়োজনীয় ওষুধ তাদের দেয়নি। সোমবার মৃত্যু সংবাদ শুনে তিন এএনএম ও দুই আশাকর্মী মৃতের বাড়ি গেলে শুরু হয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ। এ প্রসঙ্গে বেলডাঙা ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস সাহা বলেন, ‘‘প্রথমে ডায়েরিয়া বলে মনে হলেও পরে লক্ষণ দেখে মনে হয়েছে খাদ্য বিষক্রিয়া থেকেই এই ঘটনা।’’