বিদ্যুতের নতুন ডিভিশন পাওয়ার আবেদন

মাস কয়েক আগের ঘটনা। বাজ পড়ে পুড়ে যায় নাকাশিপাড়ার একটি ট্রান্সফরমার। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির স্থানীয় অফিসে ছোটাছুটি করেও নতুন ট্রান্সফরমার পাওয়া যায়নি। তাঁদের জানানো হয়, যেতে হবে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে। মাথায় হাত পড়ে এলাকার বাসিন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২৬
Share:

মাস কয়েক আগের ঘটনা। বাজ পড়ে পুড়ে যায় নাকাশিপাড়ার একটি ট্রান্সফরমার। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির স্থানীয় অফিসে ছোটাছুটি করেও নতুন ট্রান্সফরমার পাওয়া যায়নি। তাঁদের জানানো হয়, যেতে হবে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে। মাথায় হাত পড়ে এলাকার বাসিন্দাদের।

Advertisement

কারণ আর কিছুই নয়। ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়রের অফিস সেই তেহট্টে। নাকাশিপাড়া থেকে যার দূরত্ব ৫০ কিমি। যদিও ২৯ কিমি দূরে কৃষ্ণনগরে রয়েছে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়রের অফিস।

কিন্তু, এ এক অদ্ভুত নিয়ম। বাড়ির কাছের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের অফিসের নিয়ন্ত্রণে নয় নদিয়ার নাকাশিপাড়া, কালীগঞ্জ, এমনকী, কাছের কৃষ্ণনগর দুই ব্লকের ধুবুলিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকা। কারণ, এই অফিসের মধ্য রয়েছে বেশ কয়েকটি পুরসভা এব‌ং পঞ্চায়েত সমিতি।

Advertisement

ফলে এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি, তেহট্ট ডিভিশনাল অফিস ভেঙে দু’ভাগ করা হোক। নতুন ডিভিশনাল অফিস হোক নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরিতে। এবার বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সেই দাবি জানালেন এলাকার সাংসদ তাপস পাল এবং বিধায়ক কল্লোল খাঁন।

নদিয়ায় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির তিনটি ডিভিশন। একটি কৃষ্ণনগর, অন্য দু’টি তেহট্ট ও কল্যাণী। কৃষ্ণনগর ডিভিশন অফিসের মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণনগর, নবদ্বীপ এবং শান্তিপুর পুরসভা। কৃষ্ণনগর-১, নবদ্বীপ এবং শান্তিপুর ব্লক। ফলে এই অফিসের এলাকা বিশাল। অন্যদিকে কৃষ্ণনগরের কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও কালীগঞ্জ, নাকাশীপাড়া, চাপড়া এবং কৃষ্ণনগর-২ ব্লক তেহট্ট ডিভিশনাল অফিসের অন্তর্গত। তার ফলে বিভিন্ন প্রয়োজনে এলাকার বাসিন্দাদের ছুটতে হয় তেহট্টে।

সম্প্রতি নাকাশিপাড়ার মুড়াগাছাতে একটি সাবস্টেশনের শিলান্যাসে এসেছিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় তাপস পাল বেথুয়াডহরিতে ডিভিশনাল অফিস করার দাবি জানান তাঁর কাছে। কল্লোল খান সেই আবেদন লিখিতভাবে পেশ করেন মন্ত্রীর কাছে। তাঁদের দাবি, তেহট্টের ডিভিশনাল অফিস ভেঙে একটি নতুন ডিভিশনাল অফিস করা হোক। তাঁদের দাবি, কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়া এবং কৃষ্ণনগর-২ ব্লক নিয়ে তৈরি করা হোক নতুন ডিভিশন। প্রয়োজনে কৃষ্ণনগর ডিভিশনের চাপ কমাতে এই অফিসের কিছু এলাকা জুড়ে দেওয়া হোক নতুন ডিভিশনে।

বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, তাঁদের দাবির বিষয়টি নিয়ে তিনি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন। কল্লোলবাবু বলেন, ‘‘ডিভিশনাল অফিস তৈরির জন্য জমি পেতে সমস্যা হবে না। এলাকার বহু মানুষ আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন যে তেহট্টে যেতে তাঁদের টরম অসুবিধায় পড়তে হয়।’’

কালীগঞ্জের দেবগ্রামের অমিত বসু বলেন, ‘‘বড় কিছু হলে তেহট্টে ছুটতে হয়। কাছাকাছি অফিস চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন