Bomb Making at Hariharpara

সুতলির পাশে বোতল, কৌটো বোমাও তৈরি হচ্ছে জেলায়

মাস কয়েক আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে হরিহরপাড়ার রুকুনপুর কলাবাগানপাড়া, রানিনগরের গোধনপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ব্যাগ ভর্তি বোতল বোমা।

Advertisement

মফিদুল ইসলাম

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

গত কয়েক বছর ধরে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সুতলি (পেটো) বোমার পাশাপাশি চল বেড়েছে সকেট বোমার। সকেট বোমা তৈরি হয় মূলত নলকূপের পাইপ কেটে। দুষ্কৃতীদের একাংশের মতে সকেট বোমা তৈরি করতে খরচ বেশি হয়। তা ছাড়া বোমার তৈরির কাজে পাইপ ব্যবহার করা হতে পারে আঁচ পেলে অধিকাংশ হার্ডওয়্যার দোকানদারেরা এক সঙ্গে বেশি পাইপ বিক্রি করতে চান না। ফলে অপেক্ষাকৃত সহজলভ্য ও কম খরচে বোমা তৈরির প্রবণতাও বেড়েছে। সকেট বোমার পাশাপাশি বোতল বোমা, কৌটো বোমার চলও বাড়ছে। পানমশলা, নারকোল তেলের কৌটোকেও বোমা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়।

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর হরিহরপাড়ার মামুদপুর এলাকা থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু কন্টেনার বোমা। স্টেনলেশ স্টিলের তৈরি ওই পাত্রগুলি মূলত ডাল সেদ্ধ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।

মাস কয়েক আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে হরিহরপাড়ার রুকুনপুর কলাবাগানপাড়া, রানিনগরের গোধনপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ব্যাগ ভর্তি বোতল বোমা। কীটনাশকের প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে ওই বোমা তৈরি করা হয়েছিল। যা দেখে পুলিশের কর্তারা ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা কার্যত হতবাক হয়েছেন।। তবে দুষ্কৃতীদের একাংশের দাবি কৌটো বোমা, বোতল বোমা বাঁধা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তা ছাড়া এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যেতে হয় কার্যত প্রাণ হাতে করে। গত কয়েক মাস ধরে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক বিভিন্ন ধরনের বোমা উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘অনেক জায়গায় দুষ্কৃতীরা বোমা ফেলে রাখছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মজুত রাখা বোমা নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে।’’ তবে বোমার প্রকারভেদ দেখে হতবাক পুলিশও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন