চালু হল জল প্রকল্পের কাজ

তিন দিন বন্ধ থাকার পর চালু হল রানাঘাট জল প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা, ঠিকাদারদের একাংশের গোলমালের জেরে পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেববাগান একালায় ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার পুরপ্রধান ও ওই সংস্থার কর্তার সঙ্গে বৈঠকে সেই জট কাটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৫ ০০:৩১
Share:

তিন দিন বন্ধ থাকার পর চালু হল রানাঘাট জল প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা, ঠিকাদারদের একাংশের গোলমালের জেরে পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেববাগান একালায় ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার পুরপ্রধান ও ওই সংস্থার কর্তার সঙ্গে বৈঠকে সেই জট কাটে।

Advertisement

সমস্যার সূত্রপাত গত বুধবার। জল প্ররিস্রুত করার জন্য আনা বিশেষ ধরনের বালি লরি থেকে নামাতে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সেই কাজে সামিল হন ঠিকাদারদের একাংশও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, লরি করে মালপত্র আনার জন্য রাস্তায় প্রচুর ধুলো ওড়ে। ঘরবাড়ি ধুলোয় ভরে যায়। তাই সংস্থার লোকজনকে বলা হয়েছিল রাস্তায় জল ছিটিয়ে ধুলো কমানোর জন্য। কিন্তু সেই কথায় কেউ কান দেয়নি। অন্য দিকে, ঠিকাদারদের দাবি, প্রকল্পের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র তাঁদের থেকে নেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেও ওই সংস্থা নিজে থেকে বাইরে থেকে বালি আনছে। সেই কারণে এ দিন প্রতিবাদ করা হয়। যদিও সংস্থার পক্ষে দাবি করা হয়েছে জল প্ররিস্রুত করার জন্য বিশেষ ধরনের বালির প্রয়োজন। তা ঠিকাদার থেকে পাওয়া যাবে না। গোল বাধে এখানেই।

সংস্থার অধিকর্তা পার্থ গুহ বলেন, ‘‘স্থানীয় ঠিকাদারের কাছ থেকে সব কিছু নেওয়া হয়। কিন্তু ফিল্টারের জন্য যে বালির প্রয়োজন, সেটা তাঁদের থেকে নেওয়া যাবে না। কারণ এই বালির উপর নির্ভর করবে পরিস্রুত পানীয় জলের গুণগত মান। সেই বালি অন্য জায়গায় থেকে আনতে হবে।’’

Advertisement

রানাঘাট পুরসভার পুরপ্রধান ও বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই প্রকল্পের গুণগত মান নিয়ে কোন রকম আপোস করব না। শুক্রবার ওই সংস্থার মালিকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা চাই ওই প্রকল্পের কাজ সময় মতো শেষ হোক। সেই মতো শনিবার থেকে কাজও শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন