শান্তিপুর: বিরোধী ওয়ার্ড
Municipal Election 2020

বঞ্চনার তিরে বিদ্ধ পুরবোর্ড

পুরসভায় বিরোধী মুখ তিনিই। গত পুরভোটে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলন বর্তমানে সিপিএমের শান্তিপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সৌমেন মাহাতো।

Advertisement

সম্রাট চন্দ

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২০ ০১:৪০
Share:

১১ নম্বর ওয়ার্ড। নিজস্ব চিত্র

রাস্তায় পা দিলে মালুম হয়, মেরামতি দরকার। নিয়মিত বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করা হয় না। কয়েক জায়গায় নিকাশি নালা গড়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। কেন্দ্রীয় ভাবে পুরসভা যে সব কাজ করে তার ‘ছিটেফোঁটা’ হয়নি। পরিষেবা নিয়ে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগের ফিরিস্তি বেশ লম্বা। ওই ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন সিপিএমের সৌমেন মাহাতো। তাঁর দাবি, পুরবোর্ড তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু ওই ওয়ার্ডের লোকজন জিতিয়েছেন বাম প্রার্থীকে। সে কারণে, ওই ওয়ার্ডের বরাদ্দে কাটছাট করা হয়েছে। ‘বৈমাত্রেয়সুলভ’ আচরণ করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। উপেক্ষিত থেকেছে পরিষেবা। পুরপ্রধান তৃণমূলের অজয় দে অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

পুরসভায় বিরোধী মুখ তিনিই। গত পুরভোটে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলন বর্তমানে সিপিএমের শান্তিপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সৌমেন মাহাতো। শহরের অন্য ওয়ার্ডের মতো ওই ওয়ার্ডে পরিষেবা সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা রয়েছে। তবে সৌমেনের দাবি, পুর কর্তৃপক্ষ ‘বঞ্চিত’ না করলে এলাকায় আরও কিছু উন্নয়নের কাজ করতে পারতেন।

পুরসভা সূত্রে খবর, ২০০৫ সাল থেকেই সৌমেন মাহাতো ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জিতে আসছেন। গত নির্বাচনে এই ওয়ার্ডের পাশাপাশি ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জিতেছিলেন। পড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তাই এই মুহূর্তে শান্তিপুরের ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিরোধী দলের কাউন্সিলর একা সৌমেনই।

Advertisement

ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ জানান, কিছু রাস্তার অবস্থা ভাল হয়। আশু মেরামতি দরকার। হামিদিয়া লেনের মতো রাস্তায় সংস্কারের অভাব স্পষ্ট। কিছু জায়গায় নিকাশি নালা তৈরি হয়েছে বটে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

সৌমেন জানান, ২০১৭-১৮ সালে ৪ লক্ষ এবং ২০১৮-১৯ সালে ওই ওয়ার্ডের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তিনি বলছেন, “বরাদ্দ অর্থ পাওয়া গিয়েছে। তবে এর বাইরেও আরও কিছু কাজ করার ছিল। পুরসভা কেন্দ্রীয় ভাবে যে সকল কাজ করায় তার থেকে অনেকাংশেই আমি এবং এই এলাকার বাসিন্দারা বঞ্চিত হয়েছেন।” তিনি জানান, বরাদ্দের টাকায় কংক্রিটের রাস্তা করেছেন। তবে আরও রাস্তা দরকার। তিনি বলেন, “এলাকায় জঞ্জালের সমস্যার কারণে কাঙালি ওস্তাগড় লেন, দাদ্দেপাড়া লেন, মিস্তিরিপাড়া লেন, হরিদাস রায় রোডের মতো এলাকায় বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের ওপরে

জোর দিয়েছি।” সৌমেনের আনা অভিযোগ মানেননি পুরপ্রধান তৃণমূলের অজয় দে। তিনি বলেন, “সবার জন্য সম পরিমাণ অর্থই বরাদ্দ হয়। আর পুর পরিষেবার ক্ষেত্রে যেখান যা সমস্যা আছে তা মেটানো হচ্ছে। আলাদা করে কারও প্রতি বঞ্চনা করা হয় না।” তাঁর দাবি, ‘‘১১ নম্বর ওয়ার্ডে সম্প্রতি বেশ কিছু কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। হয়েছে পাকা রাস্তাও। সব এলাকায় ধাপে ধাপে কাজ হচ্ছে। বঞ্চনার অভিযোগ

ঠিক নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন