police

পিতৃত্ব স্বীকারে ২ লক্ষ টাকা দাবি! শান্তিপুরে পুলিশের দ্বারস্থ বধু

স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে দ্বারস্থ হয়েছেন বধূ। দায়ের করা হয়েছে লিখিত অভিযোগ। নদিয়ার হাবিবপুর গাজিপুরের ঘটনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ২৩:২০
Share:

সন্তানের জন্মের পর থেকে শংসাপত্রের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন মা। কিন্তু সন্তানের বাবার উপযুক্ত নথি না থাকায় বার বার বাতিল হচ্ছে আবেদন। সেই বাবার বিরুদ্ধে নিজের সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করার জন্য দু’লক্ষ টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠল। স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে দ্বারস্থ হয়েছেন বধূ। দায়ের করা হয়েছে লিখিত অভিযোগ। নদিয়ার হাবিবপুর গাজিপুরের ঘটনা।

Advertisement

দু’বছর আগে হাবিবপুরের বিপত্নী ফারুক মণ্ডলের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল তাজমিরা বিবির। তাজমিরা জানান, বিয়ের এক বছরের মাথায় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ, জন্মের শংসাপত্র সংগ্রহ করার সময় বাবা হিসাবে প্রয়োজনীয় নথি দিতে অস্বীকার করেন ফারুক। সদ্যোজাত যে তাঁর সন্তান, তা স্বীকার করার বিনিময়ে তাজমিরা ও তাঁর পরিবারের কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা দাবি করেন। প্রয়োজনীয় নথি না থাকায় আটকে রয়েছে শিশুটির জন্মের শংসাপত্র। তাজমিরার আরও অভিযোগ, সন্তান প্রসবের পর তাঁকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন ফারুক। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তাজমিরা বলেন, ‘‘প্রথম দিকে নানা বাহানায় এড়িয়ে গেলেও পরে ফারুক পরিষ্কার বলে দেয়, তাঁকে দু’লক্ষ টাকা দিতে হবে। আমার বাপের বাড়ির পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’’

এ বিষয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার তারক বর্মণ বলেন, ‘‘যে হেতু ছুটির সময় নবজাতকের বাবা হিসেবে ফারুবাবুর স্বাক্ষর ছিল, তাই ওঁর নথি চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নবজাতক যেন শুধু মাত্র মাতৃপরিচয় শংসাপত্র পেতে পারে, সেই বিষয়টি দেখব।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন