কন্যা-সন্তান খুনে মা ধৃত ধুবুলিয়ায়

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে ধুবুলিয়ার সোনডাঙার বাসিন্দা সরিফার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নবদ্বীপের মহেশগঞ্জের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর ছাদেক শেখের। তাদের একটি পাঁচ বছরের ছেলে ও দু’বছরের মেয়ে আছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৩০
Share:

দেড় মাসের কন্যাসন্তানকে খুনের অভিযোগে মাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সরিফা বিবি। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ বাড়ির পাশে একটি পুকুরে দেড় মাসের রেশমিকে ফেলে দিয়ে আসে সরিফা। জেলার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেছেন, “জেরায় ওই মহিলা জানিয়েছেন, মেয়ে হওয়ার জন্য তাকে গঞ্জনা দিত শ্বশুরবাড়ির লোক। চাপ সহ্য করতে না পেরে সে এমন কাণ্ড করেছে।’’ ওই মহিলার শ্বশুর বাড়ির ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে ধুবুলিয়ার সোনডাঙার বাসিন্দা সরিফার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নবদ্বীপের মহেশগঞ্জের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর ছাদেক শেখের। তাদের একটি পাঁচ বছরের ছেলে ও দু’বছরের মেয়ে আছে। মাস দেড়েক আগে ফের এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় সরিফা। তখন থেকে সে সোনডাঙায় বাপের বাড়িতেই ছিল।

পুলিশের জেরায় সরিফা বিবির দাবি, তৃতীয় সন্তান মেয়ে হওয়ায় তাকে আর বাড়িতে ফিরিয়ে না নিয়ে গিয়ে বাপের বাড়িতে রেখে যায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তবে তার স্বামী এ বিষয়ে জড়িত নয়। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে না বলেও জানিয়েছিল। এ দিকে বাপের বাড়ির আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়। সেই কারণে নিজের ও তার দুই কন্যাসন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে মানসিক চাপে পড়ে যায় সে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির পাওয়ার জন্যই সে দিন রাতে সে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। সরিফার স্বামী ছাদেক শেখের দাবি, “মেয়ে হওয়ার জন্য আমরা ওকে কেউ কিছুই বলিনি। সরিফা মিথ্যে বলছে। ও কেন যে এমনটা করল বুঝতে পারছি না।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন