কুপিয়ে খুন মহিলাকে

ভাগ্নের হাতে খুন হলেন মামি। রেহাই পেলেন না ওই মহিলার ছেলেও। বুধবার সকালে জঙ্গিপুরের মিঠিপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার ঘটনা। এ দিন সকালে নিহত ওই মহিলার নাম হোসনেয়ারা বেওয়া (৬০)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৪৪
Share:

শোকার্ত পরিবার। —নিজস্ব চিত্র

ভাগ্নের হাতে খুন হলেন মামি। রেহাই পেলেন না ওই মহিলার ছেলেও। বুধবার সকালে জঙ্গিপুরের মিঠিপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার ঘটনা। এ দিন সকালে নিহত ওই মহিলার নাম হোসনেয়ারা বেওয়া (৬০)। আহত ওই মহিলার ছেলে বাবর আলি রঘুনাথগঞ্জ থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি বহরমপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত সারিফুল শেখকে পুলিশ সুতির এক ফেরিঘাট থেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রামে উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

Advertisement

সীমান্ত লাগোয়া পদ্মা পাড়ের গ্রাম মিঠিপুর। সেখানেই মসজিদ পাড়ায় বাস তাইজুদ্দিন শেখের পরিবারের। ঠিক তার পাশেই তাইজুদ্দিনদের দেওয়া জায়গাতেই বাড়ি করে সরিফুলেরা। পরে সেই জমির খানিক অংশ নিয়ে বিবাদ মামা তাইজুদ্দিন ও ভাগ্নে সরিফুলের পরিবারের।

তার জেরে সরিফুলের বাবা মুসা শেখের হাতে বছর বারো আগে একই ভাবে আক্রান্ত হন তাইজুদ্দিন। সেই থেকেই বিবাদ আরও বাড়ে।

Advertisement

বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পড়শি মীরকাশিমকে গালিগালাজ করে সরিফুল। পাশেই বাড়িতে তখন কাজ করছিল বাবর। সাতসকালে ঝামেলা করতে বারণ করেন পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার বাবর।

এরপরই একটি বড় হাঁসুয়া নিয়ে সরিফুল চড়াও হয় বাবরের বাড়িতে। দরজার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর মা হোসনেয়ারা। তাঁকে রাস্তায় এনে এলোপাথাড়ি কোপায় সরিফুল। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন প্রৌঢ়া। মাকে মারতে দেখে ছুটে আসেন বাবর। তখন বাবরকেও কোপাতে শুরু করে সে।

দু’জনকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান হোসনেয়ারা। মৃতার মেয়ে আনজেরা বলেন, “সরিফুলের শাস্তি চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন