শাশুড়ি খুনে বেকসুর খালাস মহিলা

শাশুড়িকে খুনে অভিযুক্ত এক মহিলাকে ব‌েকসুর খালাস ঘোষণা করলেন বিচারক। সোমবার জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নির্দোষ বলে জানিয়ে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৬ ০৩:০০
Share:

শাশুড়িকে খুনে অভিযুক্ত এক মহিলাকে ব‌েকসুর খালাস ঘোষণা করলেন বিচারক। সোমবার জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নির্দোষ বলে জানিয়ে দেন।

Advertisement

সমশেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জে বাবার বাড়ি চুমকি সাহার। বাবা কানাই সাহা মিষ্টির দোকানের কর্মচারী। বয়স আঠেরো পেরোতেই সুতির বাগশিরাপাড়ায় তরুণ সাহার সঙ্গে চুমকিদেবীর বিয়ে হয়। স্বামী মুম্বইয়ে।

সুখের সংসার ছিল। ওলোটপালট হয়ে গেল ২০১২ সালের ১১ মে। সেই রাতে একই ঘরে বিছানায় দুই ছেলে মেয়ে ও শাশুড়ি বিশাখা সাহার সঙ্গে চুমকিদেবী ঘুমোতে যান। সকালে শৌচাগার থেকে বিশাখাদেবীর রক্তাক্ত দেহ মেলে। ঘটনার ১৩ দিন পর পুলিশ শাশুড়িকে খুনের অভিযোগে চুমকিদেবীকে গ্রেফতার করে। মাস তিনেক জেলে থাকার পর জামিন পান তিনি। কিন্তু স্বামীর বাড়িতে আর ফেরা হয়নি। চলে আসেন বাবার বাড়িতে।

Advertisement

এ দিন খুনের দায় থেকে মুক্ত হয়ে চুমকিদেবী জানান, বছর দেড়েক আগে তাঁর স্বামী বলেছিলেন বেকসুর খালাস পেলে তিনি ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু অরঙ্গাবাদ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান কৃষ্ণ দাস জানালেন, ওই মহিলার স্বামী তরুণ সাহা বছর খানেক আগে অন্যত্র বিয়ে করেছেন। চুমকিদেবী বলেন, ‘‘আর হয়ত স্বামীর কাছে ফেরা হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন