অবশেষে মিলল বকেয়া ভাতা

অবশেষে মিলল বকেয়া ভাতা। বুধবার জঙ্গিপুর লাগোয়া মিঠিপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে প্রাপ্য বকেয়া ভাতা হাতে পেলেন শতাধিক প্রবীণ নাগরিক। টানা ন’মাস ধরে বার্ধক্য, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা না মেলায় সোমবার মিঠিপুরের ওই ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কয়েকশো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৪ ০০:১৭
Share:

ভাতার টাকা পেয়ে স্বস্তিতে। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।

অবশেষে মিলল বকেয়া ভাতা। বুধবার জঙ্গিপুর লাগোয়া মিঠিপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে প্রাপ্য বকেয়া ভাতা হাতে পেলেন শতাধিক প্রবীণ নাগরিক। টানা ন’মাস ধরে বার্ধক্য, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা না মেলায় সোমবার মিঠিপুরের ওই ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কয়েকশো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। দিনভর ওই বিক্ষোভ-অবরোধে ব্যাঙ্কে ঢুকতে পারেননি কর্মীরা। স্থানীয় ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে রঘুনাথগঞ্জের ‘মাস্টার ব্যাঙ্ক’ কর্তৃপক্ষ সকলেই এই অবস্থার জন্য দুষেছিলেন মিঠিপুরের ওই ব্যাঙ্ককে। সংবাদপত্রে ওই ঘটনার খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। তারপরেই এদিন ওই ভাতা হাতে পান প্রবীণরা।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, “গরিব মানুষগুলোর উপকারের জন্যই তো রাজ্য সরকার বার্ধক্য, বিধবা কিংবা প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করেছে। জেলার সর্বত্র প্রাপকরা সে ভাতা পেলেও মিঠিপুরের ওই ব্যাঙ্কের অসহযোগিতার জন্য বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা তা পাননি। বিষয়টি জানার পরেই ব্যাঙ্ককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বকেয়া ভাতা দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিডিওকে বলা হয়েছে সকলের কাছে যাতে ভাতা পৌঁছয় সেদিকে নজর রাখতে।”

রাষ্ট্রায়ত্ত ওই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সোমনাথ দত্ত বলেন, “জেলাশাসকের কাছে বিষয়টি জানতে পারার পরেই ব্যাঙ্কের ওই শাখাকে বুধবার ভাতার টাকা বণ্টন করতে বলা হয়েছিল।” এদিন ভাতা পেয়ে খুশি সত্তরোর্ধ্ব নয়দা বেওয়া, নুরেশা বেওয়া, নুরজাহান বেওয়ারা। নুরজাহান বলছেন, “এতদিন টাকা ধার করে ওষুধ কিনে খেয়েছি। এবার সেই ধার শোধ করব। নিজের জন্য ওষুধও কিনতে পারব।” নুরেশা বেওয়া বলছেন, “নাতিটা খুব বায়না করেছিল একটা সোয়েটারের জন্য। টাকার অভাবে দিতে পারিনি। ভাবছি আজ ওকে দোকানে নিয়ে যাব।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন