উঠোনে দু’শো বোমা, তরজা শুরু

নির্বাচনের আগে বোমা উদ্ধারকে ঘিরে আশঙ্কার মেঘ দানা বাঁধছে জঙ্গিপুরের গিরিয়া ও সেকেন্দ্রায়। বুধবার দুপুরে সেকেন্দ্রার লালখান্দিয়ার গ্রামের আবদাল পাড়ায় এক নির্মীয়মাণ পাকা বাড়ির উঠোন খুঁড়ে দু’শোটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৪ ০০:২৮
Share:

চলছে বোমা উদ্ধারের কাজ। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।

নির্বাচনের আগে বোমা উদ্ধারকে ঘিরে আশঙ্কার মেঘ দানা বাঁধছে জঙ্গিপুরের গিরিয়া ও সেকেন্দ্রায়। বুধবার দুপুরে সেকেন্দ্রার লালখান্দিয়ার গ্রামের আবদাল পাড়ায় এক নির্মীয়মাণ পাকা বাড়ির উঠোন খুঁড়ে দু’শোটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। লোকসভা নির্বাচনে যেখানে বুথ হওয়ার কথা সেখান থেকে মাত্র একশো মিটার দূরে ওই বোমা মেলায় এলাকায় আশঙ্কা আরও বেড়েছে। বাড়ির শৌচাগারের পিছনে মাটির নিচে বোমাগুলি রাখা ছিল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

Advertisement

বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে সামনে রেখে সিপিএম ও তৃণমূল সরাসরি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনের সময় এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে কংগ্রেস। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহ রায় বলেন, “গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও গিরিয়া ও সেকেন্দ্রায় ২৪টির মধ্যে ১৫টি বুথে আমরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া তো দূরের কথা আমরা ঠিকমতো প্রচার পর্যন্ত করতে পারিনি। কংগ্রেস সেখানে এখন থেকেই বোমা মজুত করছে।”

তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকান বলছেন, ‘‘এলাকায় বুথ দখলের জন্য কংগ্রেস এখন থেকেই যে বোমা মজুত করতে শুরু করেছে বুধবারের ঘটনা তার প্রমাণ। এলাকায় শুধু পুলিশি টহল দিলেই হবে না। মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন তা-ও সুনিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে।”

Advertisement

সিপিএম ও তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক তথা জঙ্গিপুর মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি আখরুজ্জামান বলেন, “সিপিএম ও তৃণমূল এখন এই এলাকায় গোলমাল বাধানোর চক্রান্ত করছে। গত তিন বছর থেকে গিরিয়া ও সেকেন্দ্রা এই দু’টি পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামগুলি পুরোপুরি শান্ত। একসময় সিপিএম এই এলাকায় চরম সন্ত্রাস চালিয়েছে। হাজার হাজার বোমা উদ্ধার করেছে প্রশাসন। সংঘর্ষে নিহতও হয়েছেন বহু মানুষ।”

জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক নিখিলেশ মণ্ডল বলেন, “সেকেন্দ্রায় বোমা উদ্ধারের কথা নির্বাচন কমিশনও জানে। ভোট গ্রহণ যাতে নির্বিঘ্নে ও অবাধে হয় সে জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। ওই এলাকার ২৪টি বুথে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন