কান্দিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে গিয়ে জখম পুলিশ

আবার গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব! তবে শাসক দলের কেউ নন। এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়ালেন বামপন্থী দলের নেতারা। শুধু তাই নয়, কোন্দল থামাতে গিয়ে উভয় পক্ষের ছোঁড়া ইটের আঘাতে জখমও হয়েছেন চার পুলিশ-কর্মী। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম থানার এড়োয়ালী গ্রাম পঞ্চায়েতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৪ ০০:৫৫
Share:

আবার গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব!

Advertisement

তবে শাসক দলের কেউ নন। এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়ালেন বামপন্থী দলের নেতারা। শুধু তাই নয়, কোন্দল থামাতে গিয়ে উভয় পক্ষের ছোঁড়া ইটের আঘাতে জখমও হয়েছেন চার পুলিশ-কর্মী। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম থানার এড়োয়ালী গ্রাম পঞ্চায়েতে। আহতদের মধ্যে খড়গ্রাম থানার কর্তব্যরত এএসআই অশোক মণ্ডলের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে প্রথমে খড়গ্রাম গ্রামীন হাসপাতালে ও পরে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বাকি তিনজন পুলিশ-কর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরে পুলিশ এলাকার তল্লাশি চালিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৯টি আসনের মধ্যে ১০টি সিপিএম, ৮টি কংগ্রেস ও একটি আসনে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। ১০টি আসন পেয়ে সিপিএম ওই গ্রাম পঞ্চায়েতটি দখল করে। অভিযোগ, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের বন্দনা বাগদি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নের কাজে অনিয়ম করছেন। সেই কারণে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সিপিএমের সফিউর আলম ও বিরোধী দলনেত্রী কংগ্রেসের চন্দনা সাহা খড়গ্রামের বিডিওর কাছে গত ১৭ অগস্ট, সোমবার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে খড়গ্রামের বিডিও রবিউল ইসলাম বৃহস্পতিবার গ্রাম পঞ্চায়েতে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যান। সেই সময় তদন্ত চলাকালীন উপ-প্রধান সফিউর আলম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে প্রধানের অনুগামীরা তাঁকে ঢুকতে বাধা দেন। উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ তাঁদের আয়ত্তে আনতে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। উভয় পক্ষের ইঁট বৃষ্টির মাঝে পড়ে খড়গ্রাম থানার কর্তব্যরত এএসআই অশোক মন্ডল, একজন কনস্টেবল ও দু’জন হোমগার্ড জখম হন।

Advertisement

ওই ঘটনার পর সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সদস্য তথা খড়গ্রাম বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের বিশ্বনাথ মন্ডল বলেন, “ওই উপ-প্রধান আমাদের দল থকে জয়ী হয়েছে ঠিকই, কিন্তু উনি এখন আমাদের সঙ্গে নেই। উনি কংগ্রেসের কথায় চলাফেরা করেন। কংগ্রেসই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ওই কাজ করিয়েছে। তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।” যদিও কংগ্রেস সিপিএমের ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। খড়গ্রামের কংগ্রেস নেতা কানাই লাল ঘোষ বলেন, “সিপিএম নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলকে আড়াল করতে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। ওই উপ-প্রধান আমাদের দলে যোগ দেয়নি। উনি এখনও সিপিএমে রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে সিপিএমে কোনও ঠাঁই নেই সেটা আরও একবার প্রমানিত হল।” মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবীর বলেন, “পঞ্চায়েতে তদন্ত করার সময় উভয় পক্ষের ছোঁড়া ইটে চারজন পুলিশ-কর্মী জখম হয়েছেন। একজনকে কান্দি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ওই ঘটনায় জড়িত আটজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন