ক্ষুব্ধ কংগ্রেস

কুলবেড়িয়া উদ্বাস্তু প্রকল্প আটকে

বহরমপুরের কুলবেড়িয়া উদ্বাস্তু কলোনির পুনর্বাসনের কাজ কেন এগোচ্ছে না, বিধানসভায় ফের তা নিয়ে সরব হল কংগ্রেস। বিধানসভার গত অধিবেশনেই এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর জানিয়েছিলেন, বিষয়টি শীঘ্রই মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব আকারে পেশ করার তৎপরতা চলছে।

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৪ ০০:১১
Share:

বহরমপুরের কুলবেড়িয়া উদ্বাস্তু কলোনির পুনর্বাসনের কাজ কেন এগোচ্ছে না, বিধানসভায় ফের তা নিয়ে সরব হল কংগ্রেস। বিধানসভার গত অধিবেশনেই এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর জানিয়েছিলেন, বিষয়টি শীঘ্রই মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব আকারে পেশ করার তৎপরতা চলছে। এ বারের অধিবেশনে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি দেখছেন। সরকারের এই গড়িমসিতে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ কংগ্রেস।

Advertisement

বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী মন্ত্রী থাকাকালীন কুলবেড়িয়া প্রকল্পের জন্য ৬৮ লক্ষের কিছু বেশি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল ২০১১ সালে। তার পরে সাড়ে তিন বছরে প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ হয়নি। দু’দিন আগে মনোজবাবু বিধানসভায় এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই সময়ে মন্ত্রী মঞ্জুলবাবু অমনোযোগী থাকায় ডেপুটি স্পিকার চার বার নাম ডেকেও তাঁর সাড়া পাননি!

শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী যা উত্তর দিয়েছিলেন, তাতে মূল প্রশ্নের জবাব ছিল না। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার। পরে মনোজবাবু মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে ফের এই সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিয়েছেন। মন্ত্রী মঞ্জুলবাবু বুধবার মনোজবাবুকে জানিয়েছেন, যাতে মন্ত্রিসভায় এনে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি পাশ করানো যায়, তা তিনি দেখছেন। মনোজবাবুর বক্তব্য, “সেই ১৯৭১ সাল থেকে ও’পার বাংলা থেকে আসা মানুষগুলো একই রকম দুর্দশার মধ্যে আছেন। আগের বাম সরকারকে অনেক বার বলেও লাভ হয়নি। এই সরকারও কথার খেলাপ করছে।” কংগ্রেসেরই একাংশের বক্তব্য, বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতিকে প্রশাসনিক কাজের স্বার্থে দু’ভাগ করার প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরেই তৎপর হয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অথচ সেই সরকারেরই আর এক মন্ত্রী উদ্বাস্তু পুনর্বাসন নিয়ে এগোতেই পারছেন না। গাইঘাটার ঠাকুরবাড়িতে পারিবারিক বিরোধে জড়িয়ে-পড়া মন্ত্রী সরকারি কাজে নজর দিতে পারছেন না বলেও কটাক্ষ করছেন কংগ্রেস শিবিরের কেউ কেউ!

Advertisement

মঞ্জুলবাবু অবশ্য এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভার আলোচ্য ঠিক করেন মুখ্যমন্ত্রীই। সেই তালিকায় যাতে কুলবেড়িয়ার প্রকল্প ঠাঁই পায়, তার জন্য কাগজপত্র তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের নজরে আনা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement