শিলান্যাসের পরে সাত মাস পেরিয়ে গেলেও বহরমপুরের চুঁয়াপুর রেলগেটের উপরে উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। অবিলম্বে কাজ শুরুর জন্য কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের হল সম্প্রতি।
বহরমপুর গোরাবাজারের বাসিন্দা গোলাম মুস্তাফা সরকার ওই মামলা দায়ের করেন। তাঁর হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি লড়ছেন আইনজীবী সুবীর সান্যাল। সুবীরবাবু বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে গত ১২ মার্চ ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকারপক্ষের আইনজীবী ওই দিন কোর্টে অনুপস্থিত ছিলেন। তখন ওই দুজন বিচারপতি মামলার শুনানির জন্য ফের ১৩ মার্চ দিন ধার্য করেন। ওই দিন অবশ্য সরকারপক্ষের আইনজীবী কোর্টে হাজির ছিলেন। নকশা অনুমোদন নিয়ে সরকারের ভূমিকায় বিরক্ত প্রকাশ করে উড়ালপুলের নকশা অনুমোদন কেন আটকে রাখা হয়েছে, তা আগামী ১০ দিনের মধ্যে কোর্টকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।” সেই মতো আগামী ২৩ মার্চ ফের ওই মামলার শুনানি হবে।
রেল দফতরের প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পরেই অধীর চৌধুরী পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের লালগোলা-শিয়ালদহ শাখার চুঁয়াপুর ও পঞ্চাননতলা রেলগেটের উপরে দুটি উড়ালপুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। তার মধ্যে চুঁয়াপুর রেলেগেটের উপরে উড়ালপুল-সহ সাবওয়ে নির্মাণের জন্য রেল দফতর ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। গত ১৫ অগস্ট উড়ালপুল নির্মাণের শিলান্যাস করেন রেল দফতরের প্রতিমন্ত্রী। রেল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উড়ালপুলের জন্য ১৬ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকার দরপত্র ঘোষণা করে রেল দফতর। ওই কাজের বরাত পায় ‘ব্রীজ অ্যান্ড রুফ’ নামে একটি ঠিকাদার সংস্থা। ওই উড়ালপুল নির্মাণের জন্য বিবেকানন্দ মূর্তি থেকে কদমতলা পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম দুই পাড়ের বেশ কিছু দোকান ঘর ভাঙা পড়েছে। উড়ালপুল নির্মাণ না হওয়ায় তাঁরাও এখন আক্ষেপ করছেন।
‘হতাশ’ বহরমপুরের নাগরিকরাও। উড়ালপুলকে কেন্দ্রে করে জনস্বার্থে দায়ের হওয়া মামলা কাজে গতি আনবে বলে মনে করছেন তাঁরা।