চতুর্থ শ্রেণির দুই স্কুল ছাত্রীকে পেয়ারা খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে কানের দুল ছিনতাই করে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়া গেল এক মহিলা। উদ্ধার করা হয়েছে দু’জোড়া কানের দুলও। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে রঘুনাথগঞ্জের গণকর জুনিয়র বেসিক স্কুলে। এই নিয়ে ওই স্কুলে দু’বার এমন ঘটনা ঘটল। পুলিশ জানিয়েছে, এদিনের ঘটনায় ধৃত ওই মহিলার নাম রুম্পা খাতুন। তার বাড়ি রঘুনাথগঞ্জের কানুপুর গ্রামে। ওই মহিলা পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনার কথাই স্বীকার করেছে। ওই মহিলার সঙ্গে রয়েছে মাস দশেকের এক শিশু ও বছর আটেকের এক মেয়ে।
গণকর স্কুলের ওই দুই ছাত্রী রিনা খাতুন ও সামিমা খাতুন বলে, “পেয়ারা খাব বলে বইয়ের ব্যাগ স্কুলে রেখে আমরা ওই মহিলার সঙ্গে গিয়েছিলাম। এরপর কথা বলতে বলতে আমাদের দু’জনেরই কানের দুল ওই মহিলা খুলে নেয়।” ওই মহিলার সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে ওই দুই ছাত্রী স্কুল থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ডে চলে আসে। অনেকটা পথ চলে আসায় তারা দু’জনেই কাঁদতে শুরু করে। এদিকে বিপদ বুঝে ওই মহিলাও তাদের রেখে রঘুনাথগঞ্জগামী একটি অটোতে উঠে পড়ে। মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ডে ট্রাফিক ডিউটি করছিলেন দুই সিভিক পুলিশ সাহেব শেখ ও মুরসালিম শেখ। ওই দুই ছাত্রীর মুখ থেকে ঘটনার কথা শুনে তাঁরা অন্য ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ফুলতলার সিভিক পুলিশের কর্মীরা ততক্ষণে ওই মহিলাকে আটক করে ফেলে।
গণকর জুনিয়র বেসিক স্কুলের প্রধানশিক্ষক অমিতাভ বাইন্ধা বলেন, “আমরা গোটা বিষয়টি নিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করব। স্কুলের সামনে সিভিক পুলিশের পাহারার কোনও বন্দোবস্ত করা যায় কি না সে বিষয়েও পুলিশের কাছে আমরা অনুরোধ করব। এই ঘটনায় সিভিক পুলিশের দুই কর্মীর তৎপরতার প্রশংসা করেছেন রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি সৈয়দ রেজাউল কবীর। তিনি বলেন, “সাহেব শেখ ও মুরসালিম শেখ নামে দুই সিভিক পুলিশকর্মীকেই পুরস্কৃত করা হবে।”