কংগ্রেসের সভায়। ধুলিয়ানে।
জেলার সব বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জামানত জব্দ করাই কংগ্রেসের প্রধান লক্ষ হবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রবিবার ধুলিয়ানের বড় তরফের মাঠে অধীরের সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। এত লোকের ভিড় সম্ভবত কল্পনা করতে পারেননি কংগ্রেসের ব্লক স্তরের নেতারা। ধুলিয়ানে কাউন্সিলর ভাঙিয়ে তৃণমূল পুরসভা দখল করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যে কংগ্রেসের সঙ্গেই রয়েছে, এ দিনের জনসভার জনসমাগম তা দেখিয়ে দিল বলে দাবি কংগ্রেসের। ভরা সমাবেশে প্রথম থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে চড়া সুরে আক্রমণ শুরু করেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলছে কংগ্রেসের সঙ্গে নাকি তৃণমূলের জোট হবে। কী জোট? পাচারকারী, চোর, খুনিদের সঙ্গে কোনও জোট নয়। জেলার সব বিধানসভা আসনেই তৃণমূল প্রার্থীদের জামানত জব্দ হবে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল রাজ্যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। জেলাজুড়ে ধর্ষণ, নারী ও শু পাচার বেড়েছে। রবিবার সামশেরগঞ্জের এক কংগ্রেসের জেলা পরিষদ সদস্যকে তৃণমূলের এক যুবনেতা হুমকি দিয়েছেন। পুলিশকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। এবার সামশেরগঞ্জ থানা ঘেরাও করা হবে। এই থানার কর্তারা মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছেন কংগ্রেস নেতাদের।’’ এ দিন অধীর চৌধুরী সামশেরগঞ্জ বিধানসভা আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করেও জানান, সামশেরগঞ্জে দলের অভিভাবক হিসেবে কাজ করবেন খলিলুর রহমান। তিনিই দলের প্রতিনিধি। তাঁর সঙ্গে থেকে কংগ্রেস কর্মীরা লড়াই করবে সামশেরগঞ্জে। খলিলুর রহমান ধুলিয়ানের একজন বিড়ি ব্যবসায়ী। ফরাক্কার বিধায়ক কংগ্রেসের মইনুল হক অবশ্য সামশেরগঞ্জের প্রার্থী নিয়ে অনেকটাই খোলামেলা। তিনি বলেন, ‘‘জেলা কংগ্রেস ইতিমধ্যেই সামশেরগঞ্জে খলিলুর রহমানকে প্রার্থী করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তাঁকে ঘিরে কোনও বিতর্ক নেই বলেই তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।’’ এ দিন ফরাক্কার নয়নসুখ পঞ্চায়েতের প্রধান শুভ্রা পাল তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন বলেন, ‘‘তৃণমূল একা লড়েই এ জেলায় ঘাস ফুল ফোটাবে।’’