তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বড়ঞায় বোমাবাজি

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সপ্তাহের প্রথম দিন সাতসকালেই বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার সাটিতারা গ্রাম। ওই ঘটনায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র-সহ মোট পাঁচ জন জখম হয়েছেন। এর মধ্যে মিনারুল শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বোমাবাজির ঘটনা অবশ্য মানতে চাননি বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জালালউদ্দিন আফাজ। তাঁর দাবি, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের যোগ নেই। এটা সমাজবিরোধীদের গ্রাম দখলের লড়াই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৫ ১৬:৪২
Share:

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সপ্তাহের প্রথম দিন সাতসকালেই বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার সাটিতারা গ্রাম। ওই ঘটনায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র-সহ মোট পাঁচ জন জখম হয়েছেন। এর মধ্যে মিনারুল শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বোমাবাজির ঘটনা অবশ্য মানতে চাননি বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জালালউদ্দিন আফাজ। তাঁর দাবি, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের যোগ নেই। এটা সমাজবিরোধীদের গ্রাম দখলের লড়াই।

Advertisement

ঠিক কী ঘটেছিল?

স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই বড়ঞার পাশাপাশি দু’টি গ্রাম সাটিতারা ও একঘড়িয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গোলমাল চলছিল। বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জালালউদ্দিন বনাম বড়ঞা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান সদস্য তথা প্রাক্তন প্রধান তৃণমূলের মুশার আলির সাথে দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। মুশার আলির দাবি, চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকার বহু বেকার ছেলেমেয়ের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে জালালউদ্দিন। এখন টাকা ফেরতের ব্যাপারে চাপ দিচ্ছে তাঁরা। অভিযোগ, তারই পাল্টা হিসেবে জালালউদ্দিন দলীয় কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করছে।

Advertisement

বিষয়টি কেন পুলিশ বা উচ্চ নেতৃত্বকে জানাননি?

মুশার আলির জবাব, এক বার নয়, একাধিক বার জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনকে বিষয়টি জানিয়েছি। সোমবারের ঘটনাও তাঁকে জানানো হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি জালালউদ্দিন আফাজ। তাঁর দাবি, ‘‘চাকরি দেওয়ার নাম করে কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি।’’

এ দিন সকাল ছ’টা থেকে হঠাৎই শুরু হয় বোমাবাজি। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয় সাটিতারা গ্রামে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারনি। এমনকী, এলাকা থেকে কোন বোমাও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “পুলিশ একটি মামলা করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে ওই বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে কি না তা জানতে চাইলে পুলিশ সুপারের সাফাই, “বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন