দিল্লি থেকে ধৃত তিন পাচারকারী

কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় দিল্লি থেকে আরও ৩ পাচারকারীকে গ্রেফতার করল কান্দি থানার পুলিশ। দিল্লির পাহারগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে কান্দি মহকুমার সালার থানার পিলখুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা এক কিশোরীকে উদ্ধারও করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:০৬
Share:

কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় দিল্লি থেকে আরও ৩ পাচারকারীকে গ্রেফতার করল কান্দি থানার পুলিশ। দিল্লির পাহারগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে কান্দি মহকুমার সালার থানার পিলখুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা এক কিশোরীকে উদ্ধারও করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হলেন, সফিক আলি, তাজিমুল আনসারি ওরফে মাস্টার ও কাজি মহম্মদ জাহিরুদ্দিন। প্রথম দু’জন দিল্লির পাহারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। জাহিরুদ্দিনের বাড়ি বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার খাঁজিগ্রামে। মঙ্গলবার ধৃতদের কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক শ্রীধর সু ধৃতদের দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

গত ৬ মে কলকাতার পাতিপুকুর এলাকার বাসিন্দা ঋতু সিং কান্দি থানার মহালন্দি গ্রামে মামার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। ওই কিশোরীর বাড়ির লোকেরা পুলিশের কাছে নিখোঁজ অভিযোগ করে। কিন্তু পুলিশ ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অজয় দলুইকে গ্রেফতার করুছে না এই অভিযোগ তুলে ওই কিশোরীর বাবা কমল সিংহ রাজ্যের উচ্চ আদালতে মামলা করেন। উচ্চ আদালত পুলিশকে ওই কিশোরীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ কে ভর্ত্‌সনাও করে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ। গত ৬ আগস্ট মূল অভিযুক্ত অজয় দলুইকে পুলিশ সাগরদিঘী থানা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ পরে অজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘনিষ্ঠ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে। অন্য দিকে, ভিন রাজ্যে ওই কিশোরীর খোঁজে তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশ ওই ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে গত ২৬ আগস্ট পুলিশ গ্রেফতার করে। পরের দিন দিল্লি আদালতে ধৃতদের তোলা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মূলত কেতুগ্রামের বাসিন্দা জাহিরুদ্দিন অপহৃত কিশোরীদের মাস্টারের হাতে তুলে দিত। মাস্টার দীর্ঘদিন ধরেই কিশোরী পাচারের সঙ্গে জড়িত। ধৃতদের এ দিন কান্দি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। অন্য দিকে, উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরীর গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানায় পুলিশ। সেই মতো, কান্দি মহকুমা আদালতের মুর্শিদাবাদ জেলার বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক বিশাল মাঙ্গরতির এজলাসে ওই কিশোরীর জবানবন্দি নেওয়া হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন