নিখোঁজ জওয়ান, উদ্বিগ্ন পরিবার

বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরার পথে নিখোঁজ হলেন এক জওয়ান। হরিয়ানার হিসারে কর্মরত ৫৩৩ এএসি ব্যাটেলিয়নের নায়েক পদে কর্মরত লব বিশ্বাসের বাড়ি নদিয়ার রানাঘাটের তারাপুর সুরেশনগর এলাকায়। কাজে যোগ দেওয়ার নাম করে সপ্তাহ দুয়েক আগে তিনি হারিয়ানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৫ ০০:৫৭
Share:

বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরার পথে নিখোঁজ হলেন এক জওয়ান। হরিয়ানার হিসারে কর্মরত ৫৩৩ এএসি ব্যাটেলিয়নের নায়েক পদে কর্মরত লব বিশ্বাসের বাড়ি নদিয়ার রানাঘাটের তারাপুর সুরেশনগর এলাকায়। কাজে যোগ দেওয়ার নাম করে সপ্তাহ দুয়েক আগে তিনি হারিয়ানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু তারপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে বাড়ির লোকজনের দাবি। এই মর্মে থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ ফেব্রয়ারি সকালে হরিয়ানার কাজে যোগ দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বছর বত্রিশের লববাবু। পরদিন তিনি দিল্লিতে পৌঁছন। সেখানে দু’দিন কাটানোর পর ২৫ ফেব্রয়ারি হরিয়ানার উদেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন থেকে তাঁর সঙ্গে আর কোনরকম ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ২৬ ফেব্রয়ারি হরিয়ানার হিসার ক্যম্পে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কোন খবর না পেয়ে ১ মার্চ রানাঘাট থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে একটি মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে। বিভিন্ন থানায় তা পাঠানো হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

লববাবুর বাবা রামচন্দ্রবাবু তারাপুর বিবেকানন্দ হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেনির কর্মী। দুই ছেলে এবং এক মেয়ের মধ্যে লববাবুই বড়। মাধ্যমিক পাশ করার পর তিনি চাকুরি পেয়ে যান। বাবা-মা ছাড়াও বাড়িতে স্ত্রী এবং বছর ছয়েকের এক মেয়েও রয়েছে। এর আগে অসমে কর্মরত ছিলেন তিনি। পরে হরিয়ানায় বদলি হন। সেখানেই কাজে যোগ দিতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। রামচন্দ্রবাবু বলেন, “২৫ ফেব্রয়ারি ছেলের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছিল । সে ফোনে আমাকে জানিয়েছিল ওই দিন রাতে ট্রেন ধরে সে হরিয়ানার হিসারে কাজে যোগ দিতে যাবে। তারপর থেকে ছেলের সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ হয়নি। ফোনও করেনি।” তিনি জানান, বাধ্য হয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বীজপুর থানার কাঁচড়াপাড়ায় মিলিটারি ক্যাম্পে যান। সেখানকার আধিকারিদের বিষয়টি বলেন। তাঁরা সঙ্গেসঙ্গে হরিয়ানার হিসারে ক্যাম্পের আধিকারিদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে জানানো হয়, লববাবু কাজে যোগ দেননি। তারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নবকুমার মণ্ডল বলেন, “এলাকার সকলের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল লববাবুর। বাড়ি ফিরলে সকলের সঙ্গে কথা বলেন। প্রশাসনের কাছে দাবি রাখছি, তিনি যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসেন সেই ব্যবস্থা করে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন