নজরদারিতে থানায় সিসিটিভি

শুধু অভিযুক্ত বা অপরাধীরা নয়, এখন থেকে নজরবন্দি গোটা থানাটাই। থানার লকআপ থেকে প্রবেশপথ। সময়ে অসময়ে থানায় আসা সাধারণ মানুষের বসার জায়গা অথবা সামনের ঘেরা মাঠ, যান্ত্রিক চোখে এখন থেকে সবই নজরবন্দি। সম্প্রতি নবদ্বীপ থানায় লাগানো হল সিসিটিভি। তাতে বহিরাগতদের গতিবিধির উপর যেমন নজরদারি চলবে তেমনি কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা নিজের নিজের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করছেন সে সবও ক্যামেরাবন্দি হয়ে থাকবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:০৫
Share:

সামলে, নবদ্বীপ থানায় সিসিটিভি চলছে। ছবি: দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

শুধু অভিযুক্ত বা অপরাধীরা নয়, এখন থেকে নজরবন্দি গোটা থানাটাই।

Advertisement

থানার লকআপ থেকে প্রবেশপথ। সময়ে অসময়ে থানায় আসা সাধারণ মানুষের বসার জায়গা অথবা সামনের ঘেরা মাঠ, যান্ত্রিক চোখে এখন থেকে সবই নজরবন্দি। সম্প্রতি নবদ্বীপ থানায় লাগানো হল সিসিটিভি। তাতে বহিরাগতদের গতিবিধির উপর যেমন নজরদারি চলবে তেমনি কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা নিজের নিজের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করছেন সে সবও ক্যামেরাবন্দি হয়ে থাকবে।

রাজ্যে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকে গত সাড়ে তিন বছরে পুলিশের হেফাজত থেকে অপরাধী ছিনিয়ে নেওয়া, বিক্ষোভ প্রদর্শনের নামে থানা ভাঙচুর, পুলিশ কর্মীদের হেনস্থা, মারধোর, উত্তেজিত জনতার পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এই জাতীয় ঘটনার সঙ্গে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যুক্ত থাকে কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থকেরা। পরবর্তী কালে এই সব ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই মনে করছে পুলিশের একাংশ।

Advertisement

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, পুলিশ সম্পর্কে প্রথম এবং সাধারণ অভিযোগ হল খারাপ ব্যবহারের। যে কোনও কাজে থানায় গিয়ে প্রত্যেকেরই কি একই অভিজ্ঞতা হয়? সব অফিসার সমান নন এটা যেমন সত্যি। তেমনি সকলেই থানায় গিয়ে খারাপ ব্যবহার পাচ্ছেন, এটাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। সিসিটিভি এবার প্রমাণ করবে সত্যিই কে কতটা খারাপ ব্যবহার পাচ্ছেন এবং কোন অফিসার খারাপ ব্যবহার করছেন। তাছাড়া অনেকেই অভিযোগ করেন যে, পুলিশ অভিযোগ নিতে চাইছে না। এখন সিসিটিভি থাকায় কেউই কোনও মিথ্যা বলতে পারবে না। কারণ থানায় সর্বত্র নজর রাখছে সিসিটিভি। ক্যামেরা ফুটেজ পরিষ্কার জানিয়ে দেবে ঠিক কী ঘটেছে।

আবার বহু ক্ষেত্রে উল্টো ঘটনাও ঘটছে। খারাপ ব্যবহার, অভিযোগ না নিতে চাওয়ার মিথ্যা কথা বলে অকারণ থানার ওপর রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রবণতা চিরকালই আছে। কোনও কাজে এসে দশ মিনিট অপেক্ষা করেই রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা। রাজনৈতিক কারণে দলবল নিয়ে থানায় এসে হম্বিতম্বি করা বা বিক্ষোভের নামে ভাঙচুর হাঙ্গামা করা ও ক্রমশ বাড়ছে। সে ক্ষেত্রেও সিসি টিভি ফুটেজ থেকেই ধরা পড়বে কে কী উদ্দেশে থানায় আসছেন বা রাজনৈতিক নেতারা যথাযথ ভূমিকা পালন করছেন কিনা।

নবদ্বীপ থানার আইসি তপন কুমার মিশ্র বলেন, এর ফলে আমাদের কাজের সুবিধা হল। একজন অফিসারের পক্ষে গোটা থানা নজরে রাখা সম্ভব হবে। পাশাপাশি মানুষের যদি কোনও অভিযোগ থেকে তারও সত্যতা যাচাইয়ের ব্যবস্থাও রইল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন