পুড়ল পার্টি-অফিস, বন্ধ স্কুল

রাতের অন্ধকারে কে বা কারা তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়েছে। ‘প্রতিবাদ’-এ স্কুল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের কর্মী-সমথর্কেরা। চলল মাইক বাজিয়ে প্রতিবাদ সভাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে হরেকৃষ্ণপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস পুড়তে দেখেন। ততক্ষণে অবশ্য পুরো ঘরটাই ভস্মীভূত। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে এলাকায় ১২ ঘণ্টা প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমপুর শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:০৯
Share:

জয়রামপুরে হুমকি দেওয়াল লিখন। —নিজস্ব চিত্র।

রাতের অন্ধকারে কে বা কারা তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়েছে। ‘প্রতিবাদ’-এ স্কুল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের কর্মী-সমথর্কেরা। চলল মাইক বাজিয়ে প্রতিবাদ সভাও।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে হরেকৃষ্ণপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস পুড়তে দেখেন। ততক্ষণে অবশ্য পুরো ঘরটাই ভস্মীভূত। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে এলাকায় ১২ ঘণ্টা প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়। শুধু তাই নয়, এ দিন স্কুল, স্থানীয় বাজার, পঞ্চায়েত অফিসও বন্ধ রাখা হয়। করিমপুর-১ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তরুণ সাহা বলেন, “গত রাতে কেউ বা কারা ওই অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। অফিসে রাখা যাবতীয় কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আমাদের কর্মীদের খুন করার হুমকি দিয়ে পাশের দেওয়ালে বিরোধীদের কেউ পোস্টারও দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই মর্মে পুলিশের কাছেও একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে আমরা ওই এলাকায় ১২ ঘণ্টা প্রতিবাদ দিবস পালন করেছি।” অন্য দিকে, ওই প্রতিবাদ সভার কারণে জয়নারায়ণপুর বিদ্যাভবনের শিক্ষক-পড়ুয়ারা সবাই যথা সময়ে এলেও তাঁদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বেলা ১টা অবধি অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরে যান তাঁরা। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, “শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা সঠিক সময়ে স্কুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই দলের সমর্থকেরা আমাদের স্কুলে ঢুকতে দেয়নি। স্কুলের সামনেই মাইক বাজিয়ে ওরা প্রতিবাদ সভা করেন। শেষ পর্যন্ত দুপুর প্রায় ১টা নাগাদ সকলেই বাড়ি ফিরে আসি।” বিজেপির নদিয়া জেলা কমিটির মুখপাত্র সৈকত সরকার বলেন, “এই ঘটনার জন্য ওদের দলের গোষ্ঠী কোন্দলই দায়ী। আগুন লাগানো বা দেওয়ালে খুনের পোস্টার লাগানোয় আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। সারদা কাণ্ড থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই ওদের ষড়যন্ত্র।” ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন