ফের কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝোলানোর অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল ধুলাউড়ি গ্রামে। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত প্রাঙ্গণে উভয় দলের প্রায় শ’দেড়েক সমর্থক জড়ো হয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়লে ডোমকলের যুগ্ম বিডিও ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন। পরে কর্মীদের ডেকে পঞ্চায়েত অফিসের কাজ শুরু করার দাবিতে পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য এবং সমর্থকেরা ঘণ্টা তিনেক যুগ্ম বিডিও-কে ঘেরাও করে রাখেন। কর্মীরা এসে কাজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলে ঘেরাও ওঠে।
ডোমকলের বিডিও রবীন্দ্রনাথ মিশ্র বলেন, “এ দিন যুগ্ম বিডিও গিয়ে তালা খুলে দিলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তৃণমূল সদস্যরা পঞ্চায়েত কর্মীদের উপস্থিতি দাবি করে ঘেরাও করে তাঁকে।” কংগ্রেস সদস্যরা এ দিন দাবি করেন, পঞ্চায়েত প্রধান দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছেন। তারই প্রতিবাদে তাঁরা অফিসে তালা ঝুলিয়েছেন। অন্য দিকে তৃণমূল সদস্যদের দাবি, নানা ভাবে কংগ্রেস বর্তমান প্রধানকে সরানোর চেষ্টা করেছে। ব্যর্থ হয়ে এখন তালা ঝুলিয়ে এলাকার উন্নয়ন স্তব্ধ করতে চাইছে। এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের ফলে তালা ঝুলেছে ধুলাউড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। ফলে উন্নয়নও ব্যাহত হয়েছে এলাকার।
এ বারের ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। এলাকার বাসিন্দা আহাদ আলির দোকানের নাম লেখা একটি প্যাডে সিলমোহর দিতে যান পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সাদেক আলি মণ্ডল। সে সময়ে প্যাডটি নকল বলে দাবি করেন আহাদ আলি। ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি প্রদীপ চাকি বলেন, “সদস্যদের নিয়ে সাধারণ সভা না করেই নকল প্যাড তৈরি করে স্বামীর মাধ্যমে প্রধান জালিয়াতি করছিলেন। সদস্যরা তা বুঝতে পেরে তালা ঝুলিয়েছেন। পঞ্চায়েতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমরা আবারও আন্দোলনে নামব।”
যদিও তৃণমূল প্রধান পারভিনা বিবির দাবি, “কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ওরা আমার পিছনে পড়ে আছে। নানা অপবাদ দিয়ে পঞ্চায়েতের উন্নয়ন রুখতে ওরা মরিয়া।” ডোমকল ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আলি আকছার কবি বলেন, “কেবল ধুলাউড়ি নয়, তৃণমূলকে রুখতে কংগ্রেস অন্য পঞ্চায়েতও স্তব্ধ করতে চাইছে। মানুষ ওদের চক্রান্তের জবাব দেবে।”