পঞ্চায়েত দফতরে হাতাহাতি, জখম

পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই সিপিএম ও তৃণমূল সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি বাধল। দু’দলের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় সোমবার ভেস্তে গেল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাকা সভা। অসিত সিংহ নামে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মাথায় ১৪টি সেলাই পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৪ ০০:১৩
Share:

পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই সিপিএম ও তৃণমূল সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি বাধল। দু’দলের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় সোমবার ভেস্তে গেল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাকা সভা। অসিত সিংহ নামে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মাথায় ১৪টি সেলাই পড়েছে।

Advertisement

নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৩ জন সদস্যের ১৪ জন বামফ্রন্টের। বাকিদের মধ্যে ছ’জন কংগ্রেসের ও তিন জন তৃণমূলের। এ দিন বেলা ৩টে নাগাদ সভা ছিল। আহত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অসিত সিংহ বলেন, “আমি দু’টো নাগাদ পঞ্চায়েত অফিসে বসে একজনের সঙ্গে গল্প করছিলাম। প্রধানের স্বামী ও তাঁর এক সঙ্গী অফিসে ঢুকে আমাকে দেখেই গালাগালি শুরু করেন। আমি প্রতিবাদ করলে বচসা শুরু হয়। তখন একটি লোহার রড এনে আমার মাথায় মারেন প্রধানের স্বামী।” কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ সানাউল্লাও অভিযোগ করেন, “পরিকল্পিত ভাবে সভা ডেকে পঞ্চায়েত অফিসে নিজের লোকজনদের দিয়ে বিরোধী দলের সদস্যকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।”

তবে, পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান আনজেরা বিবি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “সভা শুরুর আগেই তৃণমূলের ওই সদস্য দলবল নিয়ে এসে চড়াও হয় অফিসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পঞ্চায়েতের আসবাবপত্র ভাঙচুর করতে থাকে। ভেঙে দেয় কম্পিউটার। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় আমাদের। এই সময় পড়ে গিয়ে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের মাথা ফাটে।” প্রধানের স্বামী নজরুল ইসলাম ঘটনার সময় পঞ্চায়েত অফিসে উপস্থিত থাকার কথাই অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। স্ত্রী-র কাছ থেকে খবর পেয়ে পঞ্চায়েত অফিসে যাই।

Advertisement

বিডিও বিধান বিশ্বাস বলেন, “এদিন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি সভা ছিল। সভা শুরুর আগেই সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কী থেকে এই অশান্তি ঘটেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।”

এ দিনই বিকেলে বেলডাঙা-১ ব্লকের মহুলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে দফতরের মধ্যে হাতাহাতি হয় সিপিএমের নিজেদের মধ্যে। জখম হন সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও অন্য এক সিপিএম সদস্যের স্বামী। জখম আব্দুল মতিন চৌধুরী ও আব্দুল মনায়েম মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। ওই অঞ্চলের কংগ্রেস জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘দুর্নীতিতে জড়িয়ে পরে নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে সিপিএম।” বেলডাঙা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের সভাপতি আবু সৈয়দ বলেন, ‘‘সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় নিজেদের মধ্যে একটু গণ্ডগোল হয় বলে শুনেছি। দুর্নীতির প্রশ্ন নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন