বিজেপি-র দ্বন্দ্বের ছায়া সম্মেলনেও

অন্য দল থেকে দলে-দলে বিজেপিতে যোগদানের ধারা অব্যাহত নদিয়া জেলা জুড়ে। কিন্তু রবিবার কৃষ্ণনগরের এ ভি স্কুলের মাঠে আয়োজিত ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার নদিয়া জেলা কমিটির সম্মেলনে দেখা মিলল না জেলা নেতৃত্বের একাংশের। এই নিয়ে সভাস্থলে কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন ছড়ালেও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কেউ। বিজেপির জেলা সভাপতি কল্যাণ নন্দী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৪ ০০:২৪
Share:

সভামঞ্চে পতাকা হাতে রাধানাথ বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।

অন্য দল থেকে দলে-দলে বিজেপিতে যোগদানের ধারা অব্যাহত নদিয়া জেলা জুড়ে। কিন্তু রবিবার কৃষ্ণনগরের এ ভি স্কুলের মাঠে আয়োজিত ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার নদিয়া জেলা কমিটির সম্মেলনে দেখা মিলল না জেলা নেতৃত্বের একাংশের। এই নিয়ে সভাস্থলে কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন ছড়ালেও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কেউ। বিজেপির জেলা সভাপতি কল্যাণ নন্দী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে যুব মোর্চার জেলা সভাপতি কল্যাণ দাস বলেন, ‘‘আমি এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য সকলকেই আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলাম। যাঁরা আসেননি, তাঁরাই বলতে পারবেন কেন আসেননি।’’

Advertisement

সেই লোকসভা ভোটের সময় থেকে নদিয়ায় বিজেপিতে দু’টি শিবির তৈরি হয়েছে। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবু পরাজিত হওয়ার পরে যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। জলুবাবুর ঘনিষ্ঠরা অভিযোগ করেন, জেলা নেতৃত্বের একাংশ তাঁকে সহযোগিতা করেনি। যাঁদের দিকে ইঙ্গিত, সেই জেলা সভাপতি কল্যাণ নন্দী আবার পাল্টা অভিযোগ করেন, জলুবাবু নিজের মতো ভোট পরিচালনা করার কারণেই এই বিপর্যয় হয়েছে। এই তিক্ততার মধ্যেই জলুবাবু কৃষ্ণনগরে এসে দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি সভা করেন। সেখানে কল্যাণবাবু ও তাঁর অনুগামীরা না আসায় বিতর্ক বাড়ে। এ দিনের সম্মেলন মঞ্চে আবার কল্যাণবাবুরা থাকলেও দেখা গেল না জলুবাবু ঘনিষ্ঠ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহাদেব সরকার ও তাঁর অনুগামীদের। মহাদেববাবু ‘ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকার’ জন্য সম্মেলনে যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। জলুবাবুর অনুগামীরা অবশ্য দাবি করেছেন, দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজেদের মতো করে সম্মেলনের আয়োজন করেছে। অবাঞ্ছিত জেনেই অন্য পক্ষ গরহাজির থেকেছে।

তবে সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার দু’য়েক যুবকর্মী হাজির হয়েছিলেন। কংগ্রেস ও সিপিএম থেকে বেশ কিছু নেতা-কর্মী মঞ্চে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন। যার মধ্যে অন্যতম একদা দাপুটে সিপিএম নেতা রাধানাথ বিশ্বাস। সিপিএম থেকে বহিষ্কার করার পরে তিনি তৃণমূলে গিয়েছিলেন। এ দিন বিজেপিতে যোগ দেন। সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র রীতেশ তিওয়ারি ও যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি অমিতাভ রায়। রীতেশ তিওয়ারি বলেন, ‘‘তিন বছরে রাজ্যে আমাদের ভোট ১৮ লক্ষ থেকে বেড়ে ৮৫ লক্ষ হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে যদি আসন ১০ থেকে বেড়ে ৭১টি হতে পারে, তাহলে এই রাজ্যে কেন হবে না? মানুষের কাছে আরও বেশি আস্থা অর্জন করতে হবে।’’

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন