আনন্দবাজারে খবরের জের

বাড়ির খোঁজ পেলেন বৃদ্ধা

আনন্দবাজারে সংবাদ প্রকাশের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নিজের বাড়ি খুঁজে পেলেন বৃদ্ধা পাতু মণ্ডল। পুরুলিয়ার মধুকুণ্ডা গ্রাম থেকে হারানো মাকে নিতে সোমবার মুর্শিদাবাদের মির্জাপুর গ্রামে হাজির হন তাঁর ছেলে মনোবোধ ও নাতি মিলন। গত কয়েক দিন ধরে মায়ের খোঁজে পুরুলিয়া ও বীরভূমের গ্রামে-গঞ্জে ঘুরছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৪ ০০:১৩
Share:

স্বজনের মাঝে পাতুদেবী।—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজারে সংবাদ প্রকাশের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নিজের বাড়ি খুঁজে পেলেন বৃদ্ধা পাতু মণ্ডল।

Advertisement

পুরুলিয়ার মধুকুণ্ডা গ্রাম থেকে হারানো মাকে নিতে সোমবার মুর্শিদাবাদের মির্জাপুর গ্রামে হাজির হন তাঁর ছেলে মনোবোধ ও নাতি মিলন। গত কয়েক দিন ধরে মায়ের খোঁজে পুরুলিয়া ও বীরভূমের গ্রামে-গঞ্জে ঘুরছেন তাঁরা। সোমবার খবরের কাগজ পড়ে জানতে পারেন মুর্শিদাবাদের মির্জাপুরে আশ্রয় নিয়েছেন পাতুদেবী। তারপরেই এদিন মির্জাপুরে এসে পৌঁছন ছেলে ও নাতি।

মনোবোধবাবু জানান, তাঁরা তিন বোন এক ভাই। বাবা অরুণ মণ্ডল মারা গিয়েছেন। বিঘে কুড়ি জমি রয়েছে পাতুদেবীর নামে। চাষবাস করে যা আয় হয় তা দিয়ে ভাল ভাবেই চলে যায়। নিঃসঙ্গতা কাটাতে ছেলে-মেয়েদের বাড়ি ঘোরেন বৃদ্ধা। মে মাসের শেষ সপ্তাহে ভরতপুরে এক মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার সময় সেই যে হারিয়ে যান, আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। কিন্তু পুরুলিয়া থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার ঘুরে দু’দুটো জেলা পেরিয়ে মুর্শিদাবাদের গ্রামে বৃদ্ধা পৌঁছলেন কী ভাবে, তা বুঝে পাচ্ছেন না মনোবোধবাবু। মাকে আশ্রয় দিয়ে আগলে রাখার জন্য মির্জাপুরের চক্রবর্তী পরিবারের প্রতি বারবার কৃতজ্ঞতা জানান মনোবোধবাবু। তিনি বলেন, “এখন সবাই ব্যস্ত নিজেদের নিয়ে। এটাই প্রচলিত ধারণা আমাদের। সেই ধারণা যে কতটা ভুল সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন মির্জাপুরের চন্দনাদেবী ও তাঁর ছেলে তন্ময়বাবু। কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আনন্দবাজারের কাছেও। এই ঋণ শোধ করার নয়।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন