বাড়তি ছাত্র ভর্তির আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় মঙ্গলবার ফের ধর্ণায় বসার সিদ্ধান্ত নিল এসএফআই। একই দিনে এক প্রতিবাদ সভারও আয়োজন করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। দুই ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনে নামার হুমকিতে স্বভাবতই কিছুটা হলেও চিন্তায় ফেলেছে জঙ্গিপুর কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
গত জুন মাসে ছাত্র ভর্তিকে ঘিরে ছাত্র সংগঠনগুলির আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জঙ্গিপুর কলেজ। শেষ পর্যন্ত ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি মেনে কলেজ কর্তৃপক্ষ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তির জন্য অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেন। সেই মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কলেজের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে দুই অধ্যাপিকাকে পাঠানো হয়। কলেজ পরিদর্শনের পাশাপাশি তাঁরা ছাত্র সংগঠনগুলির সাথেও কথা বলেন। পরে ফিরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেন। সেই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয় বাড়তি ছাত্র ভর্তির অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত জানার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে দুই ছাত্র সংগঠন।
ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ২৮১৬ জন ছাত্রকে ভর্তি হয়েছিল, এবারে সে জায়গায় মাত্র এক হাজার ছাত্র ভর্তি হতে পেরেছেন। গত বছরের মতো এবছরেও একই সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি নিতে হবে কলেজকে।
জঙ্গিপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অসীম মণ্ডল বলেন, “আমার এ ব্যাপারে কিছুই করার নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু অনুমতি না দিলে আমরা কী করব?”
ছাত্র সংগঠনগুলির তরফে অবশ্য পাল্টা দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কী জানিয়েছে, তা তাঁরা দেখতে যাবেন না। যদি অন্যান্য শিক্ষাবর্ষে অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা যায় তাহলে এ বছরেও ভর্তি নিতে হবে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, গত শিক্ষাবর্ষে বেশি ছাত্র ভর্তি নেওয়ার জন্য জরিমানা দিতে হয়েছিল। ছাত্র সংগঠনগুলি সব জানে। তারপরেও যদি তারা আন্দোলন করে তাহলে কলেজ কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই।