বহরমপুরে মারধর এজেন্টদের

এক অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ উঠল সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর মধুপুরে ওই সংস্থার কার্যালয়ে আসেন বেশ কয়েকজন এজেন্ট। সে সময় টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে বচসা হয় দু’পক্ষের। অভিযোগ কর্মীরা দরজার ভাঙা কাচ দিয়ে আক্রমণ করেন এজেন্টদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৫১
Share:

এক অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ উঠল সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর মধুপুরে ওই সংস্থার কার্যালয়ে আসেন বেশ কয়েকজন এজেন্ট। সে সময় টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে বচসা হয় দু’পক্ষের। অভিযোগ কর্মীরা দরজার ভাঙা কাচ দিয়ে আক্রমণ করেন এজেন্টদের।

Advertisement

ওই এজেন্টদের অভিযোগ, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের বিভিন্ন সময়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ আমানতের টাকা এখনো পর্যন্ত ফেরত পাননি আমানতকারীরা। টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁরা প্রতিনিয়ত এজেন্টদের উপরে চাপ সৃষ্টি করছেন। তাই অবিলম্বে ওই টাকা ফেরতের দাবিতে এ দিন দুপুরে বহরমপুর থানার রানিনগর ও মুর্শিদাবাদ থানার বনমালিপুরের কয়েক জন মহিলা ও পুরুষ এজেন্ট বহরমপুরের ওই অর্থলগ্নি সংস্থার কার্যালয়ে আসেন।

টাকা ফেরত দেওয়া নমিয়ে দু’পক্ষের বচসার পরেই ওই অর্থলগ্নি সংস্থার কর্মীরা একজোট হয়ে এজেন্টদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। এমনকী ধস্তাধস্তিতে ফলে কাঁচের দরজা ভেঙে যায়। তারপর ওই ভাঙা কাঁচ নিয়ে অর্থলগ্নি সংস্থার কর্মীরা এজেন্টদের উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হন টোটন শেখ নামে এক এজেন্ট।

Advertisement

মুর্শিদাবাদ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আহত টোটন শেখের অভিযোগ, “গত ২০১৩ ও ২০১৪ সালের একাধিক আমানতের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এর আগে ডিসেম্বর মাসেও টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছিলাম। তখন নতুন বছরের শুরুতেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় কর্তৃপক্ষ। এ দিন এপ্রিলে ফের আসতে বলা হয়।” রানিনগর গ্রামের মদিনা বিবি, সাইদা বিবিদের কথায়, “টাকা ফেরৎ না দেওয়ার ফলে প্রতিদিন আমানতকারীদের শাসানির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। আমানতকারীরা বাড়িতে চড়াও হচ্ছেন। ফলে অনেকেই বাড়ি ছাড়া।”

পরে এজেন্টদের পক্ষ থেকে বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাল্টা অর্থলগ্নি সংস্থাও বহরমপুর থানায় অভিযোগ করে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন