মুখ্যমন্ত্রীর জন্য গণস্বাক্ষর অভিযান সান্যালচরের

প্রশাসনের উপর আর ভরসা নেই। তাই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই তাঁদের দাবি জানাতে চান সান্যালচরের বাসিন্দারা। সেই উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে গণ-স্বাক্ষর অভিযান। আজ, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী শান্তিপুরে আসছেন, সেখানই তাঁর হাতে দাবিপত্র তুলে দিতে চান এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই ভাগীরথী পাড় ভাঙছে চাকদহ থানার চান্দুরিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সান্যালচরে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন, জলের তলায় চলে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৪ ০১:১০
Share:

প্রশাসনের উপর আর ভরসা নেই। তাই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই তাঁদের দাবি জানাতে চান সান্যালচরের বাসিন্দারা। সেই উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে গণ-স্বাক্ষর অভিযান। আজ, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী শান্তিপুরে আসছেন, সেখানই তাঁর হাতে দাবিপত্র তুলে দিতে চান এলাকাবাসী।

Advertisement

তাঁদের দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই ভাগীরথী পাড় ভাঙছে চাকদহ থানার চান্দুরিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সান্যালচরে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন, জলের তলায় চলে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। প্রশাসন প্রায় কিছুই করতে পারেনি। অথচ প্রাকৃতিক নিয়মেই বিপরীত দিকে জেগে উঠছে চর। সেখানে চাষের অধিকার চান সান্যালচরের মানুষ।

এ দিকে সান্যালচরে বিদ্যুতের খুঁটি পোতা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে টালবাহানা। এই এলাকায় মোট আটটি খুঁটি বসানোর কথা। কিন্তু চার বছরে মাত্র একটি খুঁটি পুরোপুরি বসেছে। গত আড়াই বছরে এই কাজ একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ সম্প্রতি কাজ শুরু করতে চাইলেও গ্রামবাসীর বাধায় ফিরে আসতে হয়েছে ঠিকাদারদের। চাকদহের বিডিও বিপ্লব সরকার বলেন, “বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু এলাকার মানুষ প্রশাসনিক কাজে বাধা দিচ্ছেন।” এ দিকে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির নেতা অশোক দাস বলেন, “আমরা কখনওই বলিনি যে বিদ্যুতের খুঁটি পুঁততে দেব না। গঙ্গা ভাঙন রোধ এবং নতুন চরায় আমাদের অধিকার পাওয়ার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছি শুধু। অথচ সে সব ব্যাপারে প্রশাসন নির্বিকার।”

Advertisement

বিপ্লববাবু জানান, গঙ্গা ভাঙন রোধের বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অবগত করা হবে। আর চরে অধিকার নিয়ে আলোচনা হবে নদিয়া এবং হুগলি জেলা প্রশাসনের মধ্যে।

বাজ পড়ে মৃত দুই। বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক স্কুল ছাত্র-সহ দু’জনের। তাঁদের নাম সৌরভ বিশ্বাস (১৪) ও রবি দে (৩০)। বৃহস্পতিবার দুপুরে নদিয়া গাংনাপুরের গোরিসাইল গৌরিপুর আনন্দ বিদ্যাপীঠের বাইরে ঝালমুড়ি বিক্রি করছিলেন রবি দে। সেখানেই দাঁড়িয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সৌরভ। বজ্রাহত হওয়ার পরে দু’জনকেই নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement