মিলন সভা, শেষে গান। ঋত্বিক সদনে বুধবার জেলা তৃণমূলের কর্মিসভায় মসৃন ভাবেই প্রচার শুরু হল বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেনের। সভায় হাজির ছিলেন মালদহ (দক্ষিণ), জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ ও বরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের চার জন প্রার্থীচিকিৎসক মোয়াজ্জেম হোসেন, হাজি নুরুল ইসলাম, মহম্মদ আলি ও ইন্দ্রনীল সেন। উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী তৃণমূলের সুব্রত সাহা চার জন প্রার্থীর সঙ্গে কর্মীদের পরিচয় করিয়ে দেন। ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক সংসদের সভাপতি সাগির হোসেন, প্রাক্তন প্রাণিসম্পদ দফতরের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর, কংগ্রেস থেকে সদ্য ‘বহিষ্কৃত’ বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, তৃণমূলের সহ-সভাপতি বাণী ইসরাইল ও সিদ্দিকা বেগম, বহরমপুরের কাউন্সিলর কানাই রায় ও প্রদীপ নন্দী-সহ জেলার বিভিন্ন নেতা। তবে ‘ব্যক্তিগত’ কারণে অনুপস্থিত ছিলেন নিয়ামত শেখ। বিধানসভার পরিষদীয় দলের সচিব চাঁদ মহম্মদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহম্মদ আলি বলেন, “শুরুতেই বহরমপুরের কর্মীদের নিয়ে সভা করার ইচ্ছে ছিল। পরে জেলা তৃণমূলের সভা করার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে চাঁদ মহম্মদকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।” কর্মিসভা শেষে সুব্রত বক্সী মুর্শিদাবাদের তিনটি আসনের প্রার্থীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। পরে সেখান থেকেই ইন্দ্রনীলবাবু কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন।
বস্তুত এদিনের সভায় সকলের নজর ছিল ইন্দ্রনীল সেনের দিকেই। বক্তব্য রাখতে উঠতেই ইন্দ্রনীলবাবুকে গান গাওয়ার অনুরোধ করেন কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ আখ্যা দিয়ে উন্নয়নের প্রচার করে ইন্দ্রনীল গেয়ে ওঠেন, “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে/ তবে একলা চলো রে।” গান শেষ হতেই মহম্মদ আলি বলেন, “একলা চলার প্রশ্ন নেই। সকলে মিলে চলব।” সুব্রত বক্সী পাশ থেকে বলেন, “গত ২৪ ঘন্টায় ইন্দ্রনীল বুঝেছে, তার প্রতিপক্ষের ডাকে কেউ আসবে না, তাকে একলা চলতে হবে। ইন্দ্রনীলের ওই গান তার প্রতিপক্ষকে অবশ্য রসদ যোগাবে।”