রানাঘাট মামলায় লুধিয়ানায় আটক চার সন্দেহভাজন

রানাঘাট কাণ্ডে দুই ধৃতের মোবাইলের কল ডিটেলস ঘাঁটতে গিয়েই চারটি সন্দেহজনক নম্বর খুঁজে পেয়েছিল সিআইডি। ছ’জনের নিজেদের মধ্যে কথোপকথন দেখে সন্দেহ দৃঢ় হয় গোয়েন্দাদের। সিআইডি সূত্রের খবর, চারটি মোবাইল নম্বরের ভিত্তিতে টাওয়ারের অবস্থান জানিয়ে দেয়, লুধিয়ানায় রয়েছে ওই চার জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১২
Share:

রানাঘাট কাণ্ডে দুই ধৃতের মোবাইলের কল ডিটেলস ঘাঁটতে গিয়েই চারটি সন্দেহজনক নম্বর খুঁজে পেয়েছিল সিআইডি। ছ’জনের নিজেদের মধ্যে কথোপকথন দেখে সন্দেহ দৃঢ় হয় গোয়েন্দাদের। সিআইডি সূত্রের খবর, চারটি মোবাইল নম্বরের ভিত্তিতে টাওয়ারের অবস্থান জানিয়ে দেয়, লুধিয়ানায় রয়েছে ওই চার জন।

Advertisement

সিআইডি-কর্তারা জানান, টাওয়ারের অবস্থান দেখে মঙ্গলবার সকালে যোগাযোগ করা হয় লুধিয়ানা পুলিশের সঙ্গে। সেই অনুযায়ী ওই চার জনকে পাকড়াও করার ব্যবস্থা করা হয়। সন্ধ্যায় সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশনস) দিলীপ আদক বলেন, ‘‘লুধিয়ানা পুলিশ চার জনকে পাকড়াও করার খবর দিয়েছে।’’ সিআইডি-র খবর, আপাতদৃষ্টিতে ওই চার জনের চেহারার সঙ্গে রানাঘাটে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের মিল রয়েছে।

পুলিশি সূত্রের খবর, আজ, বুধবার সিআইডি-র একটি দল লুধিয়ানায় পৌঁছবে। সেখানে গিয়ে তারা ওই চার জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। ওই চার জন সত্যিই রানাঘাট কাণ্ডে জড়িত কি না, জিজ্ঞাসাবাদের পরেই সেটা স্পষ্ট হবে।

Advertisement

গত ১৩ মার্চ গভীর রাতে রানাঘাটের এক কনভেন্ট স্কুলে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। ডাকাতির পরে ওই স্কুলের এক বৃদ্ধ সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আট জনের জড়িত থাকার কথা জানা গিয়েছে। তার মধ্যে ২৫ মার্চ রাতে মুম্বই থেকে মহম্মদ সালিম শেখ এবং হাবরা থেকে গোপাল সরকার নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

সিআইডি সূত্রের খবর, সালিমকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করার পরে তদন্তকারীরা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন, অভিযুক্তেরা রাজ্য ছে়ড়ে পালিয়েছে। সেই অনুযায়ী এই দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে সিআইডি-র দুই ডিএসপি পিনাকীরঞ্জন দাস ও অনীশ সরকারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গড়া হয়েছিল। সেই দলের সদস্যেরা সালিম ও গোপালের মোবাইল নম্বরের কল ডিটেলস ঘাঁটতে শুরু করেন। তখনই চারটি সন্দেহজনক নম্বরের খোঁজ পান তাঁরা। চারটি নম্বর সম্পর্কে সবিস্তার খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। তাতে দুই ধৃতের সঙ্গে চার জনের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা। সিআইডি-র এক কর্তা বলেন, ওই চার জন গত কয়েক দিন লুধিয়ানায় ছিল। কিন্তু তার পরে তারা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ার ছক কষেছিল বলে জানা যায়। তার পরেই চার জনকে পাকড়াও করতে তড়িঘড়ি লুধিয়ানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সিআইডি-কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন