এর আগে পণপ্রথা ও বাল্যবিবাহ রোধের মতো সামাজিক বিষয়গুলি নিয়ে প্রচার করেছেন ইমামরা। এ বার শৌচাগার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ইমামদের কাজে লাগাতে উদ্যোগী হল নদিয়া জেলা প্রশাসন। এই উদ্দেশ্যে শনিবার কৃষ্ণনগরে জেলা পরিষদের সভাকক্ষে ইমামদের নিয়ে একটি বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলাশাসক পি বি সালিম ঈদের নমাজের পরে ভাষণে (খুদবা) শৌচাগার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরার জন্য ইমামদের কাছে আর্জি জানান। জেলাশাসক বলেন, ‘‘নদিয়া জেলায় এখনও প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার পরিবার শৌচাগার ব্যবহার করে না। এটা আমাদের কাছে লজ্জার। সকলেই যাতে শৌচাগার ব্যবহার করে তার জন্য ইমামদের এগিয়ে আসাটা খুব জরুরি। ঈদের নমাজের পরে ইমামরা যে বার্তা দেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই সুযোগটাকে ব্যবহার করতে চাই।’’
এদিনের সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৪০ জন ইমাম এসেছিলেন। তাঁদের শৌচাগার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা লেখা ফ্লেক্স দেওয়া হয়। যেখানে নমাজ পড়া হয়, তার কাছে এই ফ্লেক্সগুলি টাঙিয়ে রাখার অনুরোধ করেন জেলাশাসক। পশ্চিমবঙ্গ ইমাম ও মোয়াজ্জিম কল্যাণ সমিতির নদিয়া জেলা কমিটির সভাপতি হাজি লুৎফর রহমান বলেন, ‘‘শুধু ঈদের নমাজের পরেই নয়, আমরা ঠিক করেছি প্রতি সপ্তাহের জুম্মাবারের নমাজের পরের ভাষণেও শৌচাগার ব্যবহারের জন্য প্রচার করব।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারিগরী শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরুদ্দন আহমেদ ও চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান। মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা চাই আমাদের জেলায় যেন একটাও শৌচাগারবিহীন পরিবার না থাকে। ইমামরা এই নিয়ে প্রচার করলে সেই লক্ষ্য পূরণ হবে সহজেই।” শৌচাগার ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলিতেও প্রচার করা হবে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন।