স্ত্রী খুনে আটক স্বামী

এক মহিলাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও ননদের বিরুদ্ধে। সোমবার বড়ঞা থানার সোনাভারুই গ্রামের ঘটনা। মৃত ওই মহিলার নাম নন্দেশ্বরী বাগদি (২৪)। মৃত মহিলার বাবা ফটিক বাগদির অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মহিলার স্বামী মৃত্যুঞ্জয় বাগদিকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৪ ০৪:১৯
Share:

এক মহিলাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও ননদের বিরুদ্ধে। সোমবার বড়ঞা থানার সোনাভারুই গ্রামের ঘটনা। মৃত ওই মহিলার নাম নন্দেশ্বরী বাগদি (২৪)। মৃত মহিলার বাবা ফটিক বাগদির অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মহিলার স্বামী মৃত্যুঞ্জয় বাগদিকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে মাঝবয়সি মৃত্যুঞ্জয় বাগদি ইতিমধ্যেই তিনটি বিয়ে করেছেন। প্রথমে বীরভূম জেলার বোলপুরে বিয়ে হয়েছিল। ওই স্ত্রীর একটি ছেলে আছে। সন্তান হওয়ার কিছু দিন পরেই প্রথম স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ফের একটি বিয়ে করেন মৃত্যুঞ্জয় বাগদি। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর তিনটি কন্যা সন্তান হয়। তারপরে একদিন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর ঝুলন্তদেহ উদ্ধার হয়। বছর চারেক আগে ফের বিয়ে করেন মৃত্যুঞ্জয়। বড়ঞা থানার গ্রামশালিকা বাসিন্দা ফটিক বাগদির মেয়ে নন্দেশ্বরি বাগদিকে। তৃতীয় পক্ষের দু’ছেলে-মেয়ে আছে। দ্বিতীয় পক্ষের তিন মেয়েকে নিয়েই সংসার করতেন নন্দেশ্বরী। সোমবার ভোর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই মহিলার রক্তাক্তদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বুকে বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ওই মহিলার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁর কথাবার্তায় কিছু অসঙ্গতিও ধরা পড়ছে। অভিযুক্ত ননদ পলাতক।

মৃতার বাবা ফটিক বাগদি বলেন, “বছর খানেক ধরে জামাই ও তার বোন আমার মেয়ের উপর অত্যাচার করত। মেয়ে আমাদের সে কথা বলেছিল অনেকবার। আমরাই বরং বোঝাতাম, একসঙ্গে থাকতে গেলে অনেক অসুবিধা হয় সব মেনে নিয়ে সংসার করতে হয় বলে। কিন্তু এমন ভাবে খুন করবে সেটা বুঝতে পারিনি। জামাই ও ননদ অঞ্জলী বাগদি আমার মেয়েকে খুন করেছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।” পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং একটি খুনের মামলা রুজু করেছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা নব কুমার বাগদি বলেন, “ওই মহিলা খুব ভালো ছিলেন। কিন্তু কে এমন ভাবে খুন করেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন