সাগরপাড়ায়। —নিজস্ব চিত্র।
রবিবার বিকেলে জলঙ্গির সাগরপাড়া এলাকায় বিজেপির ডাকা ‘বাংলা বাঁচাও’ সভায় কংগ্রেস ও তৃণমূলকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। রাহুলবাবু ছাড়াও এ দিনের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা জয় ব্যানার্জি। সভার শুরু থেকেই রাহুলবাবু সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে গলা চড়ান। তিনি বলেন, “তৃণমূল আর সারদা একই পার্টি। এটা সকলেই জানেন। অনেকে ভাবছেন, মদন পযর্ন্ত গিয়েই সিবিআই শেষ করবে। ভুল করছেন। একে একে রাঘব বোয়ালদের কান ধরে টেনে আনবে সিবিআই। সবে কোমরের মাপ নিতে শুরু করেছে সিবিআই। এখন মিঠুন বলছেন, দিয়েছে তাই নিয়েছি। অপর্ণা সেন বলছেন, এমন হবে ভাবিনি। গরিবের চোখের জলের দাম আপনাদের মেটাতেই হবে।”
এ দিনের ওই অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলিকে আক্রমণের পাশাপাশি এলাকার মুসলিম সমাজের উদ্দেশ্যে রাহুলবাবু বলেন, “ইমাম ভাতা দিয়ে মুসলিমদের প্রকৃত উন্নয়ন করা যায় না। ইমামভাতা দেওয়া মানে তেলা মাথায় তেল দেওয়া। গরিব মুসলিমদের উন্নয়ন করলেই প্রকৃত উন্নয়ন আসবে।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে এখন সংস্কৃতি বলতে তাপস পাল সংস্কৃতি চলছে। ধর্ষণে এগিয়ে চলেছে বাংলা। মা মেয়েকে কলেজে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকেন। এই বুঝি তাপস পালের লোক মেয়েটাকে তুলে নিয়ে গেল।”
অন্য দিকে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য পুলিশকে বুথের ধারেকাছে ঘেঁসতে দেওয়া হবে না বলে জানান জয় ব্যানার্জী। তিনি বলেন, “প্রয়োজনে মিলিটারি, প্যারা-মিলিটারি নামিয়ে ভোট করব। বীরভূমে অনুব্রত, মনিরুলদের দিয়ে ভোট লুঠ করিয়ে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে আমাদের।” এ দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকেরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে সভায় আসেন। বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সাখারভ সরকার বলেন, “এ দিনের সভা জলঙ্গি এলাকার অন্য রাজনৈতিক দলগুলির বুকে কাঁপন ধরাবে। হাজার হাজার মানুষের সমাগম বলে দিচ্ছে মানুষ বিজেপিকে চাইছে।” এ দিনের ওই সভায় সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।’