ইউনিসেফের প্রতিনিধি কৃষ্ণনগরে। —নিজস্ব চিত্র।
শৌচাগার তো তৈরি হচ্ছে, কিন্তু মানুষ সেটা ব্যবহার করছে কি, পুরনো মডেলের থেকে ‘সবার শৌচাগার’-এর নদিয়া মডেলে কী কী সুবিধা পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা,? শৌচাগার ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য আরও কী কী সুবিধা দেওয়া প্রয়োজনএসবই খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার নদিয়ায় এলেন ইউনিসেফ-এর এক প্রতিনিধিদল। সঙ্গে ছিলেন তাদের এক সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরাও। এদিন তাঁরা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি কৃষ্ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে শৌচাগার ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। ইউনিসেফের রাজ্য স্তরের ডিরেক্টর এস এন দাবে বলেন, ‘‘শৌচাগার তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই শৌচাগার মানুষ ব্যবহার করছেন কি না সে বিষয়ে আর কোনও রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয় না। সব সময় সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। এগুলো মাথায় রেখেই আমরা নদিয়া জেলায় সমীক্ষা করব আগামী ২৫ দিন ধরে। জেলার ১৭টি ব্লকের ১২০টি গ্রামে ২৪০০ পরিবারের পুরুষ ও মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি হবে।’’
গত বছর স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মাণের জন্য ‘সবার শৌচাগার’ প্রকল্পটি তৈরি করেছিল নদিয়া জেলা প্রশাসন। পরে নদিয়ার এই মডেল রাজ্যের অন্য জেলাতেও লাগু করে শৌচাগার নির্মাণে একশো দিনের কাজের প্রকল্প ও নির্মল ভারত অভিযানকে যুক্ত করা হয়। প্রথম দিকে ভাল কাজ হলেও পরে নির্মাণ সংস্থাগুলি টাকা না পাওয়ায় এই প্রকল্পের কাজের গতি শ্লথ হয়ে আসে। তবুও এই প্রকল্পে নদিয়া জেলার অগ্রগতি ভাল বলেই মনে করছেন ইউনিসেফের সহযোগী সংস্থার সচিব চান্দ্রেয়ী দাস। নদিয়ার জেলাশাসক পি বি সালিম বলেন, ‘‘ইউনিসেফের রিপোর্টে ছবিটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই প্রকল্পের সুফল অন্য দেশেও প্রয়োগ করা হবে।”