সহপাঠীর গলায় ছুরি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় বহরমপুরের গোরাবাজার নিমতলা এলাকার ফ্ল্যাট থেকে রূপম মিস্ত্রীকে বহরমপুর স্টেশন লাগোয়া রেল গুদামের পিছনের দিকে জঙ্গলের মধ্যে ডেকে নিয়ে যায় তার এক সহপাঠী। সেখানে ‘সারপ্রাইজ গিফট্’ দেওয়ার নাম করে পিছন থেকে রূপমের গলায় ধারালো অস্ত্র চালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় সে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বহরমপুর রেল পুলিশ কর্তৃপক্ষ। জিআরপি থানার ওসি সমীর ঘোষ বলেন, “ওই রেল গুদামের জঙ্গল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করে বেরিয়ে আসতে দেখে স্থানীয় জনতা তাকে জিআরপি থানার কাছে নিয়ে আসে। তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই ছাত্রের বাড়িতেও খবর দিই।”
ওই ঘটনায় বহরমপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন রূপমের বাবা পেশায় সরকারি কর্মী রবীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি। বহরমপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্র পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার দিন বিকেলে রূপম বাবা-মায়ের সঙ্গে পুজোর কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিল। তারপর একাই ফ্ল্যাটে ফিরে আসে। তখনই তাকে ডেকে নিয়ে যায় ওই ছাত্রটি। রূপমের বাবার কথায়, “দুজনেই সাইকেলে চড়ে গিয়েছিল। ওই জঙ্গলের মাটিতে সারপ্রাইজ গিফ্ট পুঁতে রাখা আছে বলে বন্ধুটি জানায়। কিন্তু চোখ না বাঁধলে ওই উপহার দেওয়া যাবে না বলে পকেট থেকে একটি রুমাল বের করে চোখ বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রূপম আমি রাজি হয়নি। তখনই পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে তার গলায় ধারালো কিছু চালিয়ে দেয়।” রবিবার রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত ছাত্রের বাবাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। সোমবার সকালে তিনি রূপমদের বাড়ি গিয়ে মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু রবীন্দ্রনাথবাবু মামলা প্রত্যাহার করবেন না বলেও তাঁদের সাফ জানিয়ে দেন। ফোন করা হলে অভিযুক্ত ওই ছাত্রের দাদা জানান , “ঘটনার পর থেকে ভাই বাড়ি ছাড়া। বাবা-মা দুজনেই এই মুহূর্তে বাড়িতে নেই।”