দার্জিলিঙের প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দার্জিলিং এবং সংলগ্ন এলাকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়ে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং মিরিকে। তাতেই বিধ্বস্ত পাহাড়। বহু জায়গায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিস্তার জল উঠে এসেছে জাতীয় সড়কের উপর। এখনও পর্যন্ত মোট ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে দার্জিলিং থেকে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দুপুরে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি লেখেন, “ভারী বর্ষণ এবং ভূমিধসের কারণে দার্জিলিং এবং সংলগ্ন এলাকার যা পরিস্থিতি, তার উপর নজর রাখা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আমরা যথাসম্ভব সাহায্য করব।”
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হবে, আগেই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দার্জিলিঙে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। সেই মতো শনিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে তিস্তার জল বেড়ে উঠে এসেছে জাতীয় সড়কে। তিস্তাবাজারের কাছে ২৯ মাইল ভালুখোলায় তিস্তার জল উঠে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এ ছাড়া, রাতে মিরিক এবং দুধিয়ার মাঝের লোহার সেতুর একাংশ বৃষ্টিতে ভেঙে গিয়েছে। তার ফলে শিলিগুড়ি থেকে মিরিকের যোগাযোগ বন্ধ। এমনকি, দার্জিলিং শহরের সঙ্গেও যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে, যা বেশ বিরল। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দার্জিলিঙে সেতু বিপর্যয়ে মৃত্যুর ঘটনায় গভীর ভাবে দুঃখিত। যাঁরা প্রিয়জনেদের হারালেন, তাঁদের সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবারই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নিয়ে শিলিগুড়ি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন তিনি। ‘টিভি নাইন বাংলা’-কে ফোনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিকেলের মধ্যে শিলিগুড়ি পৌঁছে যাবেন তিনি। সেখান থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ভুটানে প্রবল বর্ষণের কারণে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘‘বৃষ্টিতে ভুটানের জলে ভরে গিয়েছে উত্তরবঙ্গ। এই বিপর্যয় দুর্ভাগ্যজনক। দুর্যোগ তো আমাদের কারও হাতে নেই। আমরা মর্মাহত। উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলার সঙ্গে আমি আর মুখ্যসচিব ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেছি। সকালে ডিজি ফোন করেছিলেন। সকাল ৬টা থেকে আমি মনিটরিং (নজরদারি) করছি।’’