Tiljala Murder

তিলজলাকাণ্ডে ‘উদ্বিগ্ন’ কেন্দ্রের শিশুসুরক্ষা কমিশন, নোটিস গেল মুখ্যসচিবের কাছে

তিলজলায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন টুইট করে কমিশনের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩ ০৯:৩৬
Share:

তিলজলায় সাত বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

তিলজলায় সাত বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন। টুইট করে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে তারা। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশের ডিজিকে নোটিসও দিয়েছে কমিশন।

Advertisement

সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো টুইট করে জানিয়েছেন, তিলজলার ঘটনায় তাঁরা উদ্বিগ্ন। টুইটে লেখা হয়েছে, ‘‘কলকাতায় সাত বছরের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কমিশন উদ্বিগ্ন। ওই রাজ্যের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে আমরা নোটিস পাঠাচ্ছি। আমাদের একটি প্রতিনিধি দল এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানবেন।’’

মঙ্গলবার রাজ্যকে পাঠানো কমিশনের ওই নোটিসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিলজলার ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

Advertisement

রাজ্যকে দেওয়া শিশু সুরক্ষা কমিশনের চিঠি।

তিলজলায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ওই শিশুটি রবিবার সকালে আবাসনের নীচে আবর্জনা ফেলতে গিয়েছিল। সেই সময় তাকে দোতলার ফ্ল্যাটে টেনে নিয়ে যান প্রতিবেশী যুবক অলোক কুমার। শিশুর হাত, পা, মুখ বেঁধে তার উপর অত্যাচার চালানো হয়। তার পর শিশুটিকে খুন করেন অলোক। রবিবার সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাট থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরেই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তিলজলা থানায় চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ শিশুটির নিখোঁজ হওয়ার খবর পুলিশকে জানালেও তদন্তে তারা গড়িমসি করে। তা না হলে হয়তো আরও আগেই শিশুটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যেত। যদিও পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তিলজলাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোমবার পার্ক সার্কাসে রেল অবরোধ করা হয়। স্থানীয়েরা বিক্ষোভ দেখান এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত অলোক বিহারের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রীর তিন বার গর্ভপাত হয়ে গিয়েছিল। সন্তানলাভের আশায় এক তান্ত্রিকের পরামর্শ নেন তিনি। বিহারের সেই তান্ত্রিকের কথাতেই শিশু খুন করেছেন অভিযুক্ত। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন