প্রতীকী ছবি।
‘এক ভোটার এক এপিক নম্বর’ নীতি চালু করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শুধু একটি মাত্র এপিক (সচিত্র পরিচয়পত্র) নম্বর দেওয়াই নয়, একই ব্যক্তি একাধিক রাজ্যে ভোটার তালিকায় নাম তোলাতেও পারবেন না। এতদিন কোনও ব্যক্তির নাম রাজ্যের একাধিক জায়গাতে থাকলে তালিকা সংশোধনের সময়ে তা বাদ দেওয়া হত। কিন্তু এ রাজ্যের কোনও ভোটার ভিন রাজ্যে নাম তোলালে তা কাটার ব্যবস্থা ছিল না। ‘ইআরও-নেট’ নামে যে নতুন ওয়েববেসড পোর্টালের মাধ্যমে সারা দেশেই একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বার করা সম্ভব হবে।
‘ইআরও-নেট’ পোর্টালের মাধ্যমে ভোটার যেমন দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে তালিকায় নাম তুলতে পারবেন। সে ভাবে কমিশনও সংশ্লিষ্ট ভোটারের যাবতীয় বিষয়ে দিল্লি সদর দফতর থেকে নজরদারি করতে পারবে। উল্লেখ্য, এতদিন কোনও ভোটার এক বিধানসভা থেকে অন্য বিধানসভার তালিকায় নাম তুললে তাঁর দুটি এপিক নম্বর হত। ফলে দুটি নম্বর নিয়ে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কেওয়াইসি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যাও হচ্ছিল। যা নিয়ে বিভিন্ন অনুযোগ কমিশনে জমা পড়ছিল। সেই সব খতিয়ে দেখে ‘এক ভোটার এক এপিক নম্বর’-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। আগামী ১ সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হওয়ার কথা।
মঙ্গলবার শহরের একটি বণিকসভায় ‘ইআরও-নেট’ ব্যবহার নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং সিস্টেম ম্যানেজার। এই শিবিরে উপ নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনার নেতৃত্বাধীন একটি টিম প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিল।
ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে আপলোড করতে অসুবিধা হচ্ছে বলে সন্দীপ সাক্সেনাকে জানান জেলাশাসকরা। তৃণমূলস্তরে হাতে-কলমে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজ করেন বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)। তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের উপরেই দিয়েছে কমিশন। ভোটার তালিকায় সংযোজন বা বিয়োজনে ‘যথাযথ’ ভূমিকা পালনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কমিশনের পদস্থ কর্তা। আবেদনকারী যাতে সমস্যায় না পড়েন, সে দিকে নজর দিতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।