হাসপাতালে বারো ত্রুটি, ক্ষিপ্ত কমিশন

বহরমপুর মানসিক হাসপাতালে রোগীদের থাকা-খাওয়ার অব্যবস্থা, লোকাভাব, চিকিৎসায় গাফিলতি, সুস্থ হওয়ার পরে পুনর্বাসনের খামতি ইত্যাদি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:১৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

বহরমপুর মানসিক হাসপাতালে রোগীদের থাকা-খাওয়ার অব্যবস্থা, লোকাভাব, চিকিৎসায় গাফিলতি, সুস্থ হওয়ার পরে পুনর্বাসনের খামতি ইত্যাদি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বিশেষ করে উল্লেখ করেছিল ১২টি ত্রুটির। ‘‘সেই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি,’’ শুক্রবার প্রশ্ন তোলেন কমিশনের সদস্য, বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ। এই ব্যাপারে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে রাজ্যকে।

Advertisement

রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব সুরেন্দ্র গুপ্ত কমিশনকে জানান, রোগীদের পুনর্বাসনের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ‘শো-কজ’ করা হয়েছে। তা শুনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে কমিশন। বিচারপতি ঘোষ বলেন, ‘‘হাসপাতাল ও চিকিৎসার দায়িত্ব রাজ্যের। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নয়। অন্যের ঘা়ড়ে দায় চাপাবেন না।’’

ছিটমহল, হাওড়া-রানিঝিলের দূষণ নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট দেখেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন। বৃহস্পতিবার ১৪০টি অভিযোগের গণশুনানি হয়েছিল। কমিশন জানিয়েছে, ৬৬টি মামলায় রাজ্যের জবাব সন্তোষজনক। এই হিসেব অনুযায়ী পঞ্চাশ ভাগ মামলায় সন্তোষজনক রিপোর্ট দিতে পারেনি রাজ্য। কমিশনের চেয়ারম্যান, বিচারপতি এইচএল দাত্তু এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, রাজ্য সরকারের ভূমিকায় তাঁরা মোটের উপরে সন্তুষ্ট। তবে মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে আরও উন্নতি প্রয়োজন।

Advertisement

এ দিন স্বাস্থ্য, উদ্বাস্তু সমস্যা ইত্যাদি বিষয়ে ১০টি মামলার শুনানি হয়। কোচবিহারে ছিটমহলের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন এবং ক্যাম্পের বেহাল দশা নিয়ে মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে কমিশনকে জানান, এটা ভারত ও বাংলাদেশের বিষয়। তাই কেন্দ্রেরও দায়িত্ব রয়েছে। তবে রাজ্যও ওই এলাকায় উন্নয়নের কাজ করছে। কিন্তু কমিশন জানায়, রাজ্যের রিপোর্টে খামতি রয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে হবে। তাতে সন্তুষ্ট না-হলে কমিশন নিজেদের দল পাঠিয়ে তদন্ত করাবে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছ থেকে অনাহারে মৃত্যু, মানুষ পাচারের মতো সমস্যা শুনেছে কমিশন। সঞ্জিতা রাম নামে এক সমাজকর্মী বলেন, ‘‘রূপান্তরকামীরা স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও বঞ্চিত। সরকারি সাহায্য পান না।’’ কমিশন জানিয়েছে, মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয়তার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement