বিধানসভায় তাঁদের আসন বেড়েছে। শক্তিবৃদ্ধির ফলে মানুষের প্রতি দলের দায়িত্ব যে আরও বেড়েছে, সংগঠনের সর্বস্তরের কর্মীদের আজ, শনিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কর্মশালা থেকে সেই বার্তা দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মশালার মঞ্চে সাংগঠনিক স্তরে কিছু রদবদলের ঘোষণাও তৃণমূল নেত্রী করতে পারেন বলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের অনুমান।
বিধানসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে ইতিমধ্যেই কালীঘাটের বাড়িতে দলীয় নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একপ্রস্ত পর্যালোচনা করেছেন মমতা। তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জেলা সফর ও প্রশাসনিক বৈঠকও শুরু করে দিয়েছেন। এ বার তিনি দলের ভূমিকা নিয়ে নেতা-কর্মীদের রূপরেখা বেঁধে দিতে চান। সেই লক্ষ্যে আজ নেতাজি ইন্ডোরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন শাখা সংগঠনের জেলা ও রাজ্য স্তরের নেতা-জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সংগঠন মজবুত করতে রদবদল প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন মমতা। এ বার উত্তরপাড়া থেকে জয়ী হয়েছেন প্রবীর ঘোষাল। তাঁকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে আনা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত। কর্মশালা থেকে মমতা আনুষ্ঠানিক ভাবে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রবীরবাবুর নাম ঘোষণা করতে পারেন। আবার জেলা স্তরেও সাংগঠনিক পদে কিছু বদলের কথা কর্মশালায় তিনি জানাতে পারেন বলে দলের অন্দরে চর্চা চলছে।
তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে চান মমতা। বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও দলের নেতাদের বড় অংশ যে ভাবে সিন্ডিকেট ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন, তা বন্ধ করতেও মমতা কড়া বার্তা দিতে পারেন। তার সঙ্গে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে দলের সহায়ক ভূমিকা কী হওয়া উচিত, তা নিয়েও কর্মশালায় কথা হতে পারে। মমতা ছাড়াও কর্মশালায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী, সহ-সভাপতি মুকুল রায়, যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত থাকবেন।