রামকৃষ্ণ মিশনের শাখা খুলছে ঝাড়গ্রামে

আদিবাসী পড়ুয়াদের আবাসিক স্কুল ‘একলব্যে’র দায়িত্ব নেওয়ার পরে তার পরিকাঠামো ঢেলে সাজছেন রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। স্কুলটির উত্তরণে খুশি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০৩:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

আদিবাসী পড়ুয়াদের আবাসিক স্কুল ‘একলব্যে’র দায়িত্ব নেওয়ার পরে তার পরিকাঠামো ঢেলে সাজছেন রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। স্কুলটির উত্তরণে খুশি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার ঝাড়গ্রামে একলব্য চত্বরের পাশেই নতুন শাখা খুলতে তৎপর হল বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন।

Advertisement

এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ করতে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষকে ঝাড়গ্রাম শহরের উপকন্ঠে সত্যবানপল্লিতে পাঁচ একর জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। গত ৪ এপ্রিল ঝাড়গ্রাম জেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী এই জমি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেখানেই গড়ে তোলা হবে একটি বহুমুখী শিক্ষাকেন্দ্র। থাকবে ভাষা শেখার স্কুল, নন-ফর্মাল স্কুল, স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, আদিবাসী সংগ্রহশালা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র। পাশাপাশি ফ্রি কোচিং সেন্টার, প্রেক্ষাগৃহ, মুক্ত মঞ্চ, প্রার্থনা ঘর, মিশনের অফিস, বুকস্টল প্রভৃতিও গড়ে তোলা হবে।

প্রকল্পের কাজ শেষ হতে বছর দু’য়েক লাগবে। তবে তার আগেই আগামী জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কেন্দ্র চালু হয়ে যাবে।

Advertisement

নতুন এই শাখার নাম হচ্ছে, ‘রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, ঝাড়গ্রাম’। মিশন সূত্রে খবর, স্বামী শুভকরানন্দকে (শান্তনু মহারাজ) নতুন শাখার সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। স্বামী শুভকরানন্দ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেয় রামকৃষ্ণ মিশন ঝাড়গ্রামে আদিবাসী মানুষদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছে। এ বার আশ্রম তৈরি হলে ঝাড়গ্রাম ও আশপাশের অঞ্চলের মানুষ রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ পরিমণ্ডলের ছায়ায় সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।”

বাম আমল থেকে একলব্য আবাসিক স্কুল ঘিরে অভিযোগ ছিল, লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলেও বাস্তবে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ২০১৬ সালের গোড়ায় স্কুলটি পরিচালনার দায়িত্ব বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই বছর দেড়েকের মধ্যে মিশনের তত্ত্বাবধানে স্কুল ও হস্টেলের যথেষ্ট পরিকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। খাওয়াদাওয়া, পঠনপাঠন ও পরীক্ষাগার-সহ সব ক্ষেত্রেই ভোলবদল হয়েছে। আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্কুলটিকে ঢেলে সাজছেন মিশন কর্তৃপক্ষ। প়ড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলো ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পারদর্শিতার পরিচয় দিচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন