গুজব ও বিদ্বেষমূলক প্রচার ঠেকাতে এ বার সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে নজরদারি করতে বিশেষ শাখা বা ‘সেল’ তৈরি করল রাজ্য পুলিশ। নবান্নে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পাশেই এই নতুন শাখার অফিস খোলা হয়েছে। প্রশাসনের খবর, ফেসবুক ও হোয়্যাটসঅ্যাপের মাধ্যমে গুজব বা কোনও বিদ্বেষমূলক প্রচার করা হচ্ছে কি না, তা দেখাই এই শাখার কাজ। শনিবার গুজব ও গণপিটুনির মোকাবিলায় সব জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের নিয়ে ভিডিয়ো বৈঠকও করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র।
কিছু দিন ধরেই শিশু চুরি এবং কিডনি চুরির গুজব রটছে। তার জেরে একাধিক গণপিটুনির ঘটনাও ঘটেছে। তার মধ্যেই পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পরে বিদ্বেষমূলক প্রচার শুরু হয় এবং দেশদ্রোহী অপবাদ দিয়ে বহু লোকের বাড়িতে কিছু দুর্বৃত্ত হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের নামে কিছু ভুয়ো ছবিও ক্রমাগত ছড়ানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে ইতিমধ্যেই কড়া হতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের সিআইডি এবং কলকাতা পুলিশের সাইবার থানা নজরদারি চালু করেছে। কিন্তু তার পাশাপাশি এই নতুন শাখাও কাজ করবে। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘সাইবার সেল জরুরি। তবে এ রাজ্যে বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে বা বললে গ্রেফতার করা হয়। সাইবার সেল কি তাই করবে?’’
নবান্নের খবর, এ দিন ডিজির বৈঠকে গুজবের পাশাপাশি আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পুলিশ সুপারদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়েছেন শীর্ষ কর্তারা। বিভিন্ন জেলার অপরাধদমন নিয়েও কথা হয়েছে। গুজব এবং বিদ্বেষমূলক প্রচার রুখতে স্থানীয় ক্লাব এবং যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। কোনও জায়গায় কোনও গোলমাল হলে বাসিন্দাদের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে। পুলওয়ামা পরবর্তী পরিস্থিতি মাথায় রেখে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের তাঁদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের কাশ্মীরি পড়ুয়াদের নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য নিতে বলা হয়েছে।