সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ দূর করতে বুধবার বিশেষ কমিটি গড়ল জাতীয় পরিবেশ আদালত বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। এই কমিটিতে রাজ্যের অর্থসচিব, ভূমি ও ভূমি সংস্কার সচিব এবং বনসচিবকে রাখা হয়েছে। রয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার, হাওড়া পুরসভার মেয়র ও কমিশনার এবং নির্মাতা সংস্থা ম্যাকিনটশ বার্নের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। পরিবেশ আদালতের বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানিয়েছে, সাঁতরাগাছি ঝিল এলাকায় নিকাশি নালা এবং নিকাশি পরিশোধন যন্ত্র বসাতে কতটা জমি লাগবে, কী খরচ পড়বে, এক মাসের মধ্যে তা ঠিক করতে হবে কমিটিকে।
গত ১৬ জুলাই পরিবেশ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ সাঁতরাগাছি ঝিল পরিদর্শনে গিয়েছিল। সেই পরিদর্শন নিয়ে বলতে গিয়ে এ দিন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, সাঁতরাগাছির মতো পরিবেশগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ জলাশয়ের অবস্থা দেখে আদালত যুগপৎ বিস্মিত ও ব্যথিত। জলাশয়ের চারপাশে জঞ্জাল জমে থাকা এবং নিকাশি এসে জলাশয়ে মিশছে, এমন দৃশ্যও দেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। হাওড়া পুরসভা আগেই জানিয়েছিল, সাঁতরাগাছি ঝিল সংস্কারের জন্য ম্যাকিনটশ বার্নকে দায়িত্ব দিয়েছে তারা। এ দিন ওই সংস্থা আদালতে জানিয়েছে, তারা একটি পরিকল্পনা করলেও পুরসভা কোনও জমি নির্দিষ্ট করেনি, কোনও টাকাও দেওয়া হয়নি। আদালত পুরসভাকে ওই টাকা মিটিয়ে দিতে বলেছে।
সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তিনি জানান, ঝিল সংলগ্ন এলাকায় বেআইনি নির্মাণ সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দিন না নিকাশি নালা
তৈরি হচ্ছে তত দিন নিকাশির অভিমুখ ঝিলের থেকে অন্য দিকে করতেও বলেছে আদালত।