জেলা কংগ্রেসের বর্ধিত সভায় মৌসমকে ‘বড় অভিনেত্রী’ বলে অভিযোগ তোলা হল।
মৌসম নুর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তোলা শুরু করেন মালদহ জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। কোতোয়ালি পরিবারের সদস্য কংগ্রেসের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরীও পিসতুতো বোন মৌসমের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছিলেন। আর, শনিবার টাউন হলে জেলা কংগ্রেসের বর্ধিত সভায় মৌসমকে ‘বড় অভিনেত্রী’ বলে এবং নুর ম্যানসনে গনি খান চৌধুরী ও রুবি নুরের ছবি লাগানোকে স্বাধিকারভঙ্গের শামিল বলেও অভিযোগ তোলা হল। জেলা ও ব্লক কংগ্রেসের একাধিক নেতৃত্ব তাঁদের বক্তব্যে এই অভিযোগ তোলেন। মৌসম অবশ্য কংগ্রেসের বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, মোস্তাক আলম জেলা সভাপতি হওয়ার পরে এ দিন প্রথম জেলা কংগ্রেস কমিটির বর্ধিত সভা ডাকা হয় টাউন হলে। সভায় জেলা কমিটির সমস্ত সদস্যদের পাশাপাশি ১৫টি ব্লকের দলীয় সভাপতি, দুই শহরের সভাপতিরাও ছিলেন। ছিলেন ৬ বিধায়কও। কলকাতায় থাকায় ডালুবাবু অবশ্য ছিলেন না। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও মৌসমের দলবদলের পরে দলীয় পরিস্থিতি নিয়ে নেতৃত্বদের সভায় আলোচনা করতে বলা হয়। চাঁচল ১ ব্লকের দলীয় সভাপতি ইন্দ্রনারায়ণ মজুমদার বলেন, “তৃণমূলে যাওয়ার তিন দিন আগেও মৌসম কংগ্রেসেই থাকছেন বলে জানিয়েছিলেন। মৌসম যে বড় অভিনেত্রী তা তিনি তৃণমূলে যাওয়ার পর বুঝলাম।’’ গাজল ব্লক সভাপতি সত্যনারায়ণ প্রসাদ বলেন, “দল ছাড়ার পর মৌসম ফোন করেছিল তৃণমূলে যেতে। আমি বলেছিলাম তুমি বেইমানি করলেও আমি করতে পারি না।’’ জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, “গনি খানের সঙ্গে প্রতারণা করে যাঁরা দল ছেড়েছেন, তিনি গনি পরিবারের হলেও মালদহের মানুষ তাঁদের ক্ষমা করবেন না।’’ তাঁর অভিযোগ, মৌসম তৃণমূলে যোগ দিয়েও নুর ম্যানসনে গনি খান ও রুবি নুরের ছবি লাগিয়েছেন। তাতে স্বাধিকারভঙ্গ হয়েছে। কেন না ওই দু’জন আমৃত্যু কংগ্রেসেই ছিলেন। মৌসম অবশ্য বলেন, “কংগ্রেস নেতৃত্ব ভুলেই গিয়েছেন যে দলেরও আগে রুবি নুর আমার মা ও গনি খান আমার মামা। আমার কার্যালয়ে মা ও মামার ছবি রাখতে কি কংগ্রেস নেতাদের অনুমতি নিতে হবে নাকি? ওরা আগে নিজের চরকায় তেল দিক, পরে অন্যের দিকে আঙুল তুলবে।”