রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র।
দায়িত্ব নিয়ে প্রথম সিআইডির সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। শনিবার দুপুরে ভবানী ভবনে যান তিনি। ঘণ্টাদুয়েক ধরে সিআই়়ডির অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। বেরনোর মুখে এই পরিদর্শন নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ডিজি।
তবে সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে সিআইডির অফিসারদের কাজে বিভিন্ন মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেছেন। তার মধ্যে রয়েছে শিশু পাচার, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি, প্রাক্তন তৃণমূল এবং বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা। এর পাশাপাশি সিআইডির হাতে থাকা গুটিকয়েক অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তের প্রসঙ্গও উঠেছে।
সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানা। এ রাজ্যে এসে সারদা, রোজভ্যালি মামলা এবং নারদ মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তদন্তে জোর দেওয়ার কথাও বলেন। তার পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি-র ভবানী ভবনে গিয়ে এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। পুলিশ সূত্রের খবর, শিশু পাচার ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বিজেপি নেতা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠরা অভিযুক্ত।
এ ব্যাপারে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘এ তো নতুন কিছু নয়। কিন্তু সিআইডি দিয়ে কি সিবিআই তদন্ত আটকানো যাবে। এর পরে হয়তো সিআইডিকেই সিবিআই তলব করে বসল!’’
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন ভবানী ভবনে পৌঁছে প্রথমেই ওই মামলাগুলির তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং আলোচনা করেন। নির্দিষ্ট কিছু তথ্যও জানতে চান। তদন্তকারীরা ডিজিকে জানান, শিশু চুরি মামলার প্রাথমিক চার্জশিট জমা পড়েছে। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তে রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দলের কাছে কী নথিপ্রমাণ রয়েছে তাও জানতে চান। উঠেছিল মাওবাদী ও প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রসঙ্গও। এর পরে এডিজি (সিআইডি)-র সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডিজি।
এ দিন মামলার তদারকির ব্যাপারে কথা বলতেই ডিজি ভবানী ভবনে এসেছিলেন এ কথা সরাসরি মেনে নিতে নারাজ সিআই়ডির শীর্ষকর্তা। এডিজি (সিআইডি) সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘তেমন কিছু নয়। ডিজি রুটিন বৈঠক করতেই এসেছিলেন।’’