এক ছাত্র স্কুলের চৌহদ্দিতে ধূমপান করে ধরা পড়ে গিয়েছিল। প্রথমে তার অভিভাবককে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও পড়ুয়াটি থামেনি। শেষ পর্যন্ত তাকে স্কুলে আসতেই বারণ করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এখন সেই পড়ুয়া স্কুলে আসে শুধু পরীক্ষা দিতে।
এই ঘটনাটি গড়িয়া বরদাপ্রসাদ হাইস্কুলের। তবে পড়ুয়াদের অবাধ ধূমপান চলে অনেক স্কুলেই। তাই স্কুল-চত্বরে ধূমপান এবং মাদকদ্রব্য সেবনের বিরুদ্ধে কঠোর হতে চাইছে রাজ্য। ১৩ নভেম্বর এই বিষয়ে সব জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। স্কুলশিক্ষা সচিব দুষ্মন্ত নারিয়ালার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, স্কুল-চত্বরে বিড়ি, সিগারেট, মদ এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্য সেবন বন্ধ করতেই হবে। এ বিষয়ে স্কুল-চত্বরে পোস্টার সাঁটার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ মেনে কতটা কী করা গেল, তা নিয়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্কুলশিক্ষা দফতরে রিপোর্টও পাঠাতে বলা হয়েছে সব জেলা স্কুল পরিদর্শককে।
২০০৩ সালের কেন্দ্রীয় আইন অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধূমপান নিষিদ্ধ। স্কুলের আশেপাশে মাদক মিশ্রিত লজেন্স বিক্রি নিয়েও কয়েক মাস আগে সতর্কতা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো।
গড়িয়া বরদাপ্রসাদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃণালকান্তি মণ্ডল জানান, পাঁচ বছর আগে তাঁরা স্কুলে ধূমপান বন্ধের নোটিস দেন। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শিক্ষকদের জন্য ‘স্মোকিং জোন’ করে দেওয়া হবে। নতুন নির্দেশের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, যেমন নির্দেশ আসবে, তেমনই করা হবে। হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক তুষারকান্তি সামন্ত জানাচ্ছেন, তাঁদের স্কুলে খুব কম শিক্ষকই ধূমপান করেন। করলেও শৌচাগারে গিয়ে। নতুন নির্দেশ হাতে এলে তা রূপায়ণ করবেন তাঁরা। পড়ুয়ারা স্কুলে ধূমপান করছে বা মাদক সেবন করছে, এমনটা তাঁর চোখে পড়েনি বলেই জানালেন তুষারবাবু। উত্তরপাড়া সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ দে জানান, শিক্ষকরা ধূমপান করতে চাইলে স্কুল-চত্বরের বাইরেই করেন।